ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাবুশানের দারুণ ব্যাটিংয়ে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৫ আগস্ট ২০১৯

লাবুশানের দারুণ ব্যাটিংয়ে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এ্যাশেজে মাঠে নেমেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের বড় হারের পর লর্ডসে ড্র করে জো রুটের দল। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততে হবে হেডিংলিতে। অথচ সেখানে তৃতীয়দিনই ভীষণ বিপদে স্বাগতিকরা। অস্ট্রেলিয়ার ১৭৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংস মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। আগের টেস্টে আহত স্টিভেন স্মিথের বদলি বার্নাস লাবুশানের (৮০) দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৩৫৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। জবাবে শনিবার তৃতীয়দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় ২ উইকেট হারিয়ে রুটদের সংগ্রহ ছিল ৫০। জিততে হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসটা নতুন করে লিখতে হবে। কারণ ইংলিশরা কখনই সাড়ে তিন শ’র বেশি রান করে জিততে পারেনি। ড্র মাত্র দু’বার। এখানে সেই সুযোগও কম। কারণ এখনও ম্যাচের দুইদিন বাকি। লর্ডসে এ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ইতিহাসের প্রথম বদলি খেলোয়াড় হিসেবে আহত স্টিভেন স্মিথের পরিবর্তে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে নিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। তাই তৃতীয় টেস্ট থেকে স্মিথ ছিটকে যাওয়ায় মার্নাস লাবুশানেকে একাদশে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি অস্ট্রেলিয়া। এবার লাবুশানে দিলেন প্রতিদান। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই প্রতিপক্ষকে সাড়ে তিন শ’র ওপরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়াকে বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন স্মিথের বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া মার্নাস লাবুশানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৪, দ্বিতীয়বার নেমে ৮০ রান করে রান আউটের কবলে পড়েন এই ব্যাটসম্যান। স্টিভেন স্মিথের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া লাবুশানে যেন সাবেক অধিনায়কের অভাব বুঝতেই দিচ্ছেন না। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় লড়াই করে তুলে নিয়েছেন সিরিজে টানা তৃতীয় ফিফটি। বাকিদের কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। ম্যাথু ওয়েড ৩৩ আর ট্রাভিস হেড করেন ২৫ রান। ৭৫.২ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হলেও জয়ের জন্য প্রতিপক্ষের সামনে ঠিকই ছুড়ে দেয় বড় লক্ষ্যমাত্র। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস। ২টি করে উইকেট শিকার জোফরা আর্চার আর স্টুয়ার্ড ব্রডের। পাঁচ টেস্টের ঐতিহাসিক এ্যাশেজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের বড় লিড পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত তারা টেস্টটি জিতেও নেয় বড় ব্যবধানে। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে মোটামুটি দাপট দেখালেও বৃষ্টির কারণে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ইংল্যান্ড। টেস্টটি শেষ হয় ড্রয়ে। হেডিংলিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে অসিদের ১৭৯ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর সেই দাপট দেখানোর সুযোগ ছিল ইংলিশদের সামনে। কিন্তু জবাব দিতে নেমে উল্টো চরম লজ্জার মুখে পড়ে ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মাত্র ৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের প্রথম ইনিংস। ১৯৪৮ সালের পর টেস্টে অসিদের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজির। সর্বোপরি টেস্ট ইতিহাসের ১১তম সর্বনিম্ন।
×