ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হোটেল ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২৫ আগস্ট ২০১৯

হোটেল ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট

বর্তমান বিশ্বে ‘পর্যটন’ একটি বড় শিল্প হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে এখন বছরে ১০০ কোটিরও বেশি পর্যটক নিজ দেশ থেকে আরেক দেশে যান ভ্রমণের নেশায়, নতুন কিছু দেখার আশায়, শেখার আশায়। মোট কথা, মানুষ ভ্রমণপ্রিয়। ভ্রমণে মানুষ রোজ খরচ করছেন প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। পর্যটন হচ্ছে ‘বেসিক হিউম্যান ট্রেড’। এতে তেমন কোন উৎপাদন খরচ নেই। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে ও দক্ষ প্রশিক্ষিত জনশক্তি দিয়ে সেবা দিতে পারলে পর্যটন একটি লাভজনক শিল্প হিসেবে দাঁড় করানো সম্ভব। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে। ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কি : পর্যটনের সঙ্গে একান্তভাবে যে পড়াটির যোগসূত্র রয়েছে তাহলো হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বলা যায় আগামীর পেশা পর্যটন ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট হলো পর্যটন ও সেবাবিষয়ক প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানের পাঠ। ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শুধু পর্যটন বা হোটেল ব্যবস্থাপনা নিয়েই সীমাবদ্ধ নয়; বরং একই সঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে কিভাবে এই শিল্পের উন্নয়ন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হয় এতে। এ ছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে পর্যটন শিল্প এগিয়ে নিতে সহায়তা করে ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। কেন পড়বেন : বিশ্বের প্রতি ১১টি চাকরির মধ্যে একটি পর্যটন শিল্পে হয়ে থাকে। জিডিপিতে অবদান ৬ শতাংশ। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা তাদের গবেষণার দ্বারা ধারণা করছেন, ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্ব পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের ৭৩ শতাংশই ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। পর্যটন শিক্ষা শতভাগ কর্মমুখী শিক্ষা। বাংলাদেশে ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট অথবা হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশে বহু আগ থেকে তা পড়ানো হয়। কর্মক্ষেত্র : বিশ্বায়নের জোয়ারে চাকরির বাজার এখন আর শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের বাইরেও কাজের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, হাসপাতাল, ট্র্যাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম সংস্থা, এয়ারলাইন্স, শিপ, কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস সেন্টার প্রভৃতি। সারা পৃথিবীতে অসংখ্য ফাইভ স্টার বা পাঁচতারা হোটেল রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে যদি একটি মাত্র হোটেলের আয়তনকে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলেই বুঝা যাবে কী বিপুল পরিমাণ কর্মীর দরকার হয় এরকম একটি হোটেল পরিচালনা করতে। বিদেশের শ্রমবাজারে : বর্তমানে বাংলাদেশের বহু লোক ইংল্যান্ড, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আর মধ্যপ্রাচ্য আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ বহু দেশের হোটেলে কাজ করছে। তারা সেখানে এন্ট্রি লেভেলে জব করছে। কারণ তারা পর্যটনে পড়াশোনা করে কিংবা প্রশিক্ষণ নিয়ে সেসব দেশে যায়নি। ওইসব দেশে পর্যটনে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর চাহিদা প্রচুর। ইংল্যান্ডের ক্যাটারিং এ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আগামী ৩ বছরে ইংল্যান্ডের বাজারে হোটেল ব্যবস্থাপনায় দক্ষ একলাখ লোকের দরকার হবে। বাংলাদেশের পর্যটনে কারিগরি ডিপ্লোমা বা স্নাতকধারী বা দক্ষ জনশক্তি সেখানে কাজের সুযোগ পাবে। কোথায় পড়বেন : বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড (বিটিইবি) এর অধীনে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০১৮ সাল থেকে ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি টেকনোলোজি-এর ওপর ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে। ৪ বছর মেয়াদী কোর্সে ৮ টি পর্ব/ সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হয়। সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া এখানে শুধু ডে-শিফট-এ ক্লাস হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ পায়। কি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় : মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষমতা, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার উপায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট, শৃঙ্খলাবোধ, সৃজনশীলতা ভর্তির যোগ্যতা : এসএসসি-তে জিপিএ- ২.০০ সহ যে কোন বিভাগ থেকে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-এ এই কোর্সে ভর্তির জন্যে আবেদন করে ভর্তি হতে পারবে। যোগাযোগ : বাড়ি ২বি, রোড নং-১২, মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা ১২০৭। ফোন : +৮৮-০২-৫৮ ১৫১ ০৮৭। নাঈম খান
×