ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. এমএ ইউসুফ খান

প্রবাসী বাংলাদেশী সবজি চাষ করে কোটিপতি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ২৫ আগস্ট ২০১৯

প্রবাসী বাংলাদেশী সবজি চাষ করে কোটিপতি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসে তার প্রায় ৬৫ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। শুধু সৌদি আরবেই বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। গোটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে ৬৫ শতাংশ রেমিটেন্স আসে তার ৪৮ ভাগ আসে সৌদি আরব থেকে। এ কাঁচা সোনা রেমিটেন্স আহরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের আর একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনাময় দেশ হলো বাহরাইন। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন ছোট একটি রাষ্ট্র, লোকসংখ্যা মাত্র ১৬ লাখ। তন্মধ্যে প্রায় ৪০% প্রবাসী শ্রমিক। প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে আবার ইন্ডিয়ান ওয়ার্কারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। প্রায় ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক বাহরাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত আছে। তন্মধ্যে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-শ্রেণীর সংখ্যাই বেশি। বাহরাইনে প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যা আমাদের দেশের সাধারণ লোকজনের মধ্যে সে-সম্পর্কে ধারণা নেই বললেই চলে। মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির বাজার বলতে তারা শুধু সৌদি আরব, দুবাই এবং কুয়েতকেই বেশি বুঝে থাকে। সরকারী পর্যায়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাহরাইনে আরও জনশক্তি রফতানির সুযোগ রয়েছে। বাহরাইন মরুভূমির দেশ হলেও গাছ-পালার অভাব নেই, কৃত্রিমভাবে ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করা হয়েছে। অনেক খরচের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ করে ভারতের কেরালা থেকে উন্নতমানের মাটি এনে মরুভূমির উপরে বালির স্তরকে ঢেকে দেয়া হয়েছে। আর এ-কৃত্রিম মাটির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ঝকঝকে সুন্দর সাজানো শহর বাহরাইন। দুই পাশে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কৃত্রিম উপায়ে রোপণকৃত সবুজ গাছপালা ও হরেক রকম বাহারি বাগান বিশেষ করে শত শত খেজুরের গাছ দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এ- দেশটি মরুভূমির দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে বাহরাইনিদের অয়েল ফিল্ড কম। তবে বাহরাইন তার তেল শোধনাগার (ঙরষ জবভরহবৎু)-এর জন্য বিখ্যাত। সেখানে রয়েছে বিশাল তেল শোধনাগার। মূলত সৌদি আরব থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল (ঈৎঁফব ঙষর) ক্রয় করে তারা তা পরিশোধিত করে বহির্বিশ্বে বিক্রয় করে। এ সকল রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রি মোটা মোটা পাইপের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে প্রতিদিন ক্রুড অয়েল এনে তা রিফাইন করে থাকে। এ- খাত থেকে বাহরাইন প্রচুর অর্থ উপার্জন করে যা সরকারী কোষাগারে জমা হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যয় হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে বাহরাইনিদের পোয়াবারো। আর তখন প্রয়োজনীয় সকল জিনিপত্রের পাশাপাশি জনশক্তি আমদানিও বাড়িয়ে দেয়। ওদেশে দালান-কোঠা, রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে আরম্ভ করে রাস্তা ঝাড়– দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাজ তারা প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বারা করিয়ে নেয় এবং নিজেরা বেশিরভাগ সময় আমোদ-ফুর্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বাহরাইনের প্রায় সকল কর্মক্ষেত্রেই ভারতীয় নাগরিকরা একচেটিয়া বাজার দখল করে আছে। তাদের বেশির-ভাগ লোকই যে কোন বিষয়ে দক্ষ এবং শিক্ষিত। এমনকি স্বল্প-শিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত যারা, তারাও ভাল ইংরেজী বলতে পারে। ফলে চাকরির ক্ষেত্রেও তারা অগ্রাধিকার পায় এবং সাধারণত সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকে। আর এ-সব সুপারভাইজারদের মাধ্যমেই বাহরাইনিরা অন্যান্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের অশিক্ষিত প্রবাসী শ্রমিকদের কাজ বুঝে নেন। বাহরাইনে যারা আমির এবং শেখ তারা স্বাভাবিকভাবেই অর্থকড়ি ও মর্যাদার দিক থেকে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। অনেক শেখ বা ধনি ব্যক্তি আছেন যাদের গ্রামের বাড়িতে শত শত বিঘা জমি পতিত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে যাদের চাষবাসের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা সাধারণত এ-সব পতিত জমির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিপরীতে তা লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে থাকেন। জমি লিজ নেয়ার সময় যে প্রবাসী বাংলাদেশী উক্ত গার্ডেন বা কৃষিফার্মের দায়িত্ব নেন তাকে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদনে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষিফার্মের আকার অনুযায়ী তার পছন্দমতো আরও বাংলাদেশী নিয়োগ দেয়া হয়। বাহরাইনে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের প্রচুর গার্ডেন বা কৃষিফার্ম রয়েছে যা প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেখ-ভাল করেছেন। দেখা গেছে, একটি মাঝারি আকারের কৃষিফার্মে ৩০-৪০ জন বাংলাদেশী একত্রে মিলেমিশে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। বাহরাইনে সারা বছরই বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে বিধায় তাদেরও নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। শুধু কাজ আর কাজ। একটাই ভাবনাÑ দেশে ফেলে আসা পরিবারকে কিভাবে দুটো পয়সা পাঠাবে। জমির মালিককে মাসের নির্ধারিত তারিখে অর্থ প্রদানের পরও বর্গাচাষী হিসেবে তাদের হাতে ভালো উপার্জন থাকে। ফলে একজন সাধারণ লোক তার নিজ খরচ মিটিয়েও মাসে কমপক্ষে ২০-২৫ হাজার টাকা দেশে পরিবার-পরিজনের নিকট পাঠাতে পারেন। আবার অনেকে আছেন এ-কষ্টের উপার্জন থেকে প্রতিমাসে কিছু কিছু সঞ্চয় করে যখন একটা বড় ধরনের এমাউন্ট হয় তখন পাশাপাশি একাধিক কৃষিফার্ম লিজ নিয়ে থাকেন। এ মরুদেশ বাহরাইন আজ অনেকটাই সবুজে পরিণত হয়েছে। এ-সবুজ করার পেছনে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবদান উল্লেখযোগ্য। কাজেই একথা নির্দ্বিধায় বলা যা যে, প্রতিটি বৃক্ষের মূলে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ঘামের গন্ধ। বাহরাইনে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বেশিরভাগই এসেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকার দোহার অঞ্চল থেকে। কনস্ট্রাকশনের কাজ ছাড়াও তারা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে যে বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশী লোক বাহরাইনের বিভিন্ন গার্ডেন বা কৃষিফার্মে কাজ করে। এমনই একটি গার্ডেন যার নাম ‘বারবার গার্ডেন’। এটি ঘুরে দেখার সময় যে অভিজ্ঞতা অর্জন করি তা সহৃদয় পাঠকÑপাঠিকাদের জন্য এখানে তুলে ধরছি। ‘বার বার গার্ডেনটি বাহরাইনের ক্যাপিটাল সিটি মানামা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কান্ট্রিসাইডে অবস্থিত। তবে ও-দেশের গ্রাম আমাদের দেশের গ্রামের মতো অজপাড়াগাঁ নয়। বাহরাইনের গ্রামগুলোতে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের গ্রামের মতোই প্রায় সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই তাদের নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট রয়েছে। এখানে আর একটি বিষয় ব্যাখ্যা না করলেই নয়, তা হচ্ছে, আমাদের দেশে গার্ডেন বলতে আমরা ফুলের বাগানকেই বুঝে থাকি। কিন্তু বাহরাইনের কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকার কিছু সংখ্যক বাড়ি ঐ এলাকার নাম অনুসারে গার্ডেন হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকে। যেমন : বার বার নামক এলাকার ৫০টি বাড়ি নিয়ে ‘বারবার গার্ডেন’ নামকরণ করা হয়েছে। একইভাবে নূর নামক একটি এলাকার ৪০টি বাড়ি নিয়ে ‘নূর গার্ডেন’ নামকরণ করা হয়েছে। এ-গার্ডেনসমূহে যে-সব বাড়ি রয়েছে তাতে বেশির-ভাগই স্থানীয় বাসিন্দা অর্থাৎ বাহরাইনিরা বসবাস করে। প্রায় প্রতিটি বাড়ি সংলগ্ন যেসব পতিত জমি পড়ে থাকে বাড়ির মালিক তাতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের লক্ষ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের নিকট একটি নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক লিজ দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশী ওয়ার্কার যাদের কৃষিকাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই সাধারণত এই ধরনের কাজে নিয়োজিত থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানে সবজি যেমন: ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, আলু, মুলা, করল্লা, ঝিংগা, শশা, টমেটো ইত্যাদি উৎপাদন করে থাকেন। আমাদের দেশে ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম অথবা বি-বাড়িয়া হয়ে সিলেট যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে আমরা যে-ধরনের বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ দেখে থাকি, সুদূর বাহরাইনের বারবার গার্ডেনেও তার সমাহার দেখেছি। তবে ও-দেশের সবজি আরও উন্নতমানের এবং চাষের পদ্ধতিও বিজ্ঞানভিত্তিক। সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ কতটুকু পানি, আলো, ফারটিলাইজার বা তাপমাত্রা প্রয়োজন হবে তা বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ণয় করা হয়ে থাকে বিধায় ঐ-দেশের সবজি দেখার মতো হয়ে থাকে। মরুভূমির দেশে এ সতেজ-সবুজ-টাটকা সবজির ব্যাপক ফলন দেখে বিমোহিত হয়েছি। আর আমাদের দেশের লোকেরাই তা সুদূর বাহরাইনের কৃত্রিম মাটিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে উৎপাদন করছে। যে লোকগুলো নিজের দেশে অভাবের তাড়নায় পেটপুরে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পায়নি এবং অন্যরা যাদেরকে অবজ্ঞার চোখে দেখেছে, সেই লোকগুলোই তাদের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে সোনা ফলাচ্ছে। বাহরাইনে সুন্দর রাস্তাঘাট ও ট্রান্সপোর্টের সুব্যবস্থা থাকার ফলে এ-সকল সবজি বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করতেও কোন অসুবিধা হচ্ছে না এবং বিক্রির টাকা নিয়ে নিরাপদে তারা ঘরে ফিরছে। বাহরাইনের হোটেল- রেস্টুরেন্টগুলোতে গ্রীন সালাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। খাবারের তালিকায় পর্যটকদের কাছে গ্রীন সালাদ একটি আকর্ষণীয় আইটেম। বাহরাইনের সামগ্রিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তাদের মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাহরাইনিদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার মার্কিন ডলার। অথচ কিছুদিন পূর্বেও তেল ও মাছ ছাড়া তাদের নিজস্ব সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না। বর্তমানে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলেই এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশীসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম। বাহরাইনের এ-উন্নয়ন কর্মকা-ে প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। বাহরাইনে বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার জনশক্তি রফতানির বাজার গড়ে উঠছে। দেশটিতে প্রাচুর্যের অভাব নেই বিধায় রাস্তাঘাট ও দালান-কোঠা নির্মাণসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রতিদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের দ্রুত প্রসার ঘটছে। জনশক্তি রফতানির এ-সম্ভাবনাময় বাজারের প্রতি আমাদের আরও যতœবান হওয়া বাঞ্ছনীয়। পৃথিবীর মানচিত্রে সমৃদ্ধশালী দেশসমূহের তালিকায় আরব দেশগুলোর অবস্থান প্রথম সারিতে। আর বাহরাইন আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ধনী দেশ। যেহেতু এ-ধনী দেশটিতে ক্রমেই আন্তর্জাতিক শ্রম-বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, সেহেতু বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যার প্রতি দৃষ্টি রেখে শিক্ষিত, অশিক্ষিত ও স্বল্প-শিক্ষিত বেকারদের যথাযথ কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় জনশক্তি রফতানির সু-বন্দোবস্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিক শ্রম-বাজারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি তাদের প্রেরিত রেমিটেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
×