ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পত্নীতলায় আদিবাসী সংখ্যালঘুদের দু’টি শ্মশান পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২৫ আগস্ট ২০১৯

পত্নীতলায় আদিবাসী সংখ্যালঘুদের দু’টি শ্মশান পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের হ্টাশাঁওলী জামডাংগা রুইমারী গ্রামে বসবাসরত আদিবাসী ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত সরকারী খাস পুকুর গুলো স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অবৈধ দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ২নং নির্মইল ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক অনিল এক্কা জানান, হাটশাঁওলী মৌজার ১২১৫ দাগের আমলাহার পুকুর ও ৮২১দাগে অবস্থিত মোশান পুকুর নামে দুইটি পুকুরে বহু পুর্বকাল হতে এলাকার আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশান হিসেবে সেখানে তাদের শবদেহ সৎকার করতেন। তৎকালিন জামায়াত বিএনপি জোট সরকার আমল থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই পুকুর গুলো অবৈধ ভাবে জবর দখলে নিয়ে মাছ চাষিদের নিকট লিজ দিয়ে অবৈধ অর্র্থ উপার্জন করছে। এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রবীণ ব্যক্তি দেওয়ান বেশরা, মাঝি বেশরা, সমরু উরাও , কাইনচা উরাওসহ অনেকে অভিযোগ করেন, লোকজন মারা গেলে তাদের শবদেহ সৎকার করতে চরম ভোগান্তি হয়। এলাকায় নদী নালা না থাকায় দুর দুরান্তের খাড়িতে নিয়ে শবদাহ সঃকার করতে হয়। তাদের এ সমস্যা সমাধান ও প্রভাবশলী দখলদারদের হাত থেকে শ্বশান পুকুর দুটি উদ্ধারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আদিবাসী সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। পত্নীতলা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বাংলা ১৪২৬ সনের খাস আদায়ের নিমিত্তে আমলাহার শ্মশানের পক্ষে সভাপতি নুকু এক্কা ও মোশান পুকুর শ্মশানের পক্ষে সভাপতি অনিল এক্কার নামে লীজ প্রদান করেছেন। লীজ গ্রহণকারী স্থানীয় আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বেদখল হওয়া শ্মশান পুুকুর দুটি পুন:উদ্বারের জন্য গেলে অবৈধ দখলদার ওই প্রভাবশালীরা তাদের বাঁধা প্রদান করে। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠি ও প্রভাবশালী দখলদারদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারী নীতমালা অনুযায়ি লীজ গ্রহণ করেই এলাকার অসহায় আদিবাসী জনগোষ্ঠি তাদের পুর্ব পুরুষের এক মাত্র শ্মশান পুকুর দুইটি প্রভাবশালীদের হাত থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা জানান, যুগযুগ ধরে আদিবাসীরা শ্মশান ও পুকুর এভাবেই ভোগদখল করছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই পুকুর বা শ্মশানে আদিবাসীদের যেতে দিচ্ছেনা। ভুক্তভোগী অসহায় আদিবাসী সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বেদখল হওয়া শ্মশান পুকুর গুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে সেখানে তাদের শবদেহ সৎকারের সুব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
×