ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটার ট্যুরিজম পার্ক ॥ তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কুয়াকাটার ট্যুরিজম পার্ক ॥ তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন

নিজস্ব সাংবাদদাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কুয়াকাটার পর্যটক-দর্শনার্থীর জন্য সুখবর। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো বিরল দৃশ্য উপভোগ্য সৈকত কুয়াকাটায় এবার সরকারি উদ্যোগে নির্মাণ হয়েছে ‘ট্যুরিজম পার্ক’। দীর্ঘদিন পর হলেও পর্যটকের প্রত্যাশিত প্রাপ্তির প্রতিফলন ঘটবে এ পার্কেও উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকাংশ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিনে প্রত্যাশা প্রাপ্তির সুখকর মুহুর্ত উপভোগের অপেক্ষায় রয়েছেন পর্যটক-দর্শনার্থী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিশ্রুত কুয়াকাটার পর্যটকদের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ায় এখন ক্ষণ গুনছেন সাগরপাড়ের মানুষসহ সকল পর্যটক-দর্শনার্থী। জাতির পিতা বিশ^বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আড়াই একর জমি অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালে এই কুয়াকাটার উন্নয়নের গোড়াপত্তন করেছিলেন। এরপরের অধ্যায়,উন্নয়ন-ইতিহাস বিষাদময়। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় পরে জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের মে মাসে কুয়াকাটায় পর্যটন কর্পোরেশনের হলিডে হোমস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন শুরু করেন। পরিকল্পনার সঙ্গে কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে উন্নীতের প্রতিশ্রুতি দেন । আর পেছনে ফেরেনি কুয়াকাটার উন্নয়ন। ২০১০ সালে কুয়াকাটাকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। চুড়ান্ত হয়েছে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান। ইতোমধ্যে যার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে । এরই অংশ হিসেবে এই ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ শেষের পথে। বেড়িবাঁধের বাইরে সৈকত লাগোয়া নারিকেল বাগানোর মধ্যে খালি জায়গায় ১৬০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২০ ফুট প্রস্থ এই পার্কটির নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্দে সাগরপাড়ের মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি পার্কটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান। পার্কটিতে রয়েছে অকল্পনীয় সুযোগ-সুবিধা। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পর্যটকের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ পার্কটি নির্মাণ করার। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে উন্নীতের ধারাবাহিক একটি কাজ এই ট্যুরিজম পার্ক। আগামি তিন মাসের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটির নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণভাবে শেষ করে উদ্বোধনের চেষ্টা চলছে। এটি চালু হলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে কুয়াকাটা উপভোগ করতে পারবে। এক কথায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাস্টার প্ল্যান অনুসারে কুয়াকাটার উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
×