ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ঋণের প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ঋণের প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে জুলাই মাসে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ হার ২০১৩ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন। ওই সমেয় ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। আগের মাস জুনে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বেসরকারি ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে। ব্যাংকের তারল্য সংকট ও ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে কাঙ্খিত ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না বলে উল্লেখ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে এখন পর্যাপ্ত নগদ অর্থ নেই। ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) সমন্বয়ের চাপ রয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক খাতের নানা কেলেঙ্কারি ও সঞ্চয়পত্রে সুদ বেশি হওয়ায় ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। ফলে একদিকে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণ নিতেও আগ্রহী না উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বেসরকারি খাতের ঋণ হু হু করে বাড়ছিল। ফলে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও নানা কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখীর ধারা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুনের তুলনায় চলতি বছরের (২০১৯) জুলাই শেষে সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর আগের মাস জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ, মে মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, মার্চে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
×