ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যামাজন জঙ্গলের অজানা তথ্য

প্রকাশিত: ১৩:০২, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এ্যামাজন জঙ্গলের অজানা তথ্য

* দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশজুড়ে এ্যামাজন ফরেস্ট বিস্তৃত। দেশগুলো হলো- ব্রাজিল, পের, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম ও ফ্রেঞ্চ গায়ানা। ব্রাজিলে আছে এ্যামাজনের ৬০ শতাংশ। * প্রতিদিন পৃথিবীর মোট ২০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপন্ন হয় এ্যামাজনের বিস্তীর্ণ গাছপালার জগত থেকে, তাই এ্যামাজন ফরেস্টকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামে ডাকা হয়। তবে আসলে এই তথ্য সঠিক নয়। প্রতিদিন আমরা বেঁচে থাকার জন্য বেশিরভাগ অক্সিজেন পাই পৃথিবীর সব সাগর-মহাসাগরের মাইক্রো অর্গানিজম থেকে। * এ্যামাজন রেইন ফরেস্ট মোট ২.১ মিলিয়ন বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। * যদি এই রেইন ফরেস্টটি একটি দেশ হতো, তাহলে বিশালতার দিক থেকে বিশ্বের নবম বড় দেশ হতো। স্পষ্ট করে বললে, ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডকে ১৭ বার এই ফরেস্টে রাখার মতো জায়গা আছে। * আমাজনের জীববৈচিত্র্য নিয়ে এখনও পুরোপুরি জানা না গেলেও বিজ্ঞানীদের জরিপে জানা গেছে, সেখানে কমপক্ষে ৪০ হাজার প্রজাতির গাছ, ৩ হাজার প্রজাতির মাছ, ১ হাজার ৩০০ প্রজাতির পাখি ও ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ আছে। * আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি দ্রুত বিলীন হচ্ছে এ্যামাজনের জীববৈচিত্র্য। প্রতি সেকেন্ডে সেখানকার ১.৫ একর জমি ও প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ প্রজাতির প্রাণী বিলীন হচ্ছে। * বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ্যামাজনে অন্তত ৫০টি গোত্রের ২১ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করছে। আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে এদের কোন যোগাযোগ নেই। * এ্যামাজন জঙ্গল অন্ধকারাচ্ছন্ন। ঘন গাছপালা ও পাতায় আবৃত থাকায় সূর্যের আলোর মাত্র ১ শতাংশ পৌঁছায় সেখানে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি জঙ্গলের মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে কত সময় নেয় জানেন? মাত্র ১০ মিনিট। * বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী হিসেবে নীল নদকে ধরা হলেও কয়েক বিজ্ঞানী জটিল এক জরিপের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন এ্যামাজনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এ্যামাজন নদীটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী। এর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৮০০ কিলোমিটার, যা নীল নদের চেয়ে ১০৫ কিলোমিটার বড়। এ ছাড়া আয়তনের দিক থেকেও আমাজন সবচেয়ে বড়। প্রতি সেকেন্ডে ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন পানি আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত করে এই নদী। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা সাঁতরে ২০০৭ সালে ৬৬ দিনে মার্টিন স্ট্রেল নামের এক ব্রিটিশ নাগরিক এ্যামাজন নদী পাড়ি দেন। * বিশ্বে খাবারের যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তার ৮০ শতাংশই আসে এ্যামাজন জঙ্গল থেকে। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব ওষুধ তৈরি হয়, তার প্রায় ২৫ শতাংশ উপাদান আসে এ্যামাজন থেকে। * এ্যামাজন জঙ্গল টিকে থাকার জন্য অনেকটাই নির্ভর করে সাহারা মরুভূমির ওপর। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাহারা মরুভূমির বালু ও ফসফরাস আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে জমা হয় এ্যামাজন জঙ্গলে। আর এর মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য টিকে থাকে এ্যামাজনে।
×