ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আকর্ষণীয় স্থাপনা নির্মাণ করে বিনোদনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে

বদলে গেছে মেঘাই ঘাট ॥ অর্থনীতি গতিশীল

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বদলে গেছে মেঘাই ঘাট ॥ অর্থনীতি গতিশীল

বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ ॥ যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত জনপদ কাজিপুরের মেঘাইঘাট। সেই মেঘাইঘাটের চেহারা, অবয়বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যমুনাপারের এই মেঘাইঘাট প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। শুধু মেঘাইঘাটই নয়, আশপাশের জনপদ, জমি-জিরাত যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছে। এখন সময় বদলেছে। মেঘাইঘাটের চেহারা, অবয়বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। গড়ে উঠেছে বড় বড় মার্কেট, অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার হয়েছে। এ বছরই নৌবন্দর স্থাপনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে এই মেঘাইঘাটে। যমুনানদীর ভাঙ্গন থেকে মেঘাইঘাট রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বিভাগ নদীর ভেতর দিয়ে আড়াআড়িভাবে একটি স্পার (বাঁধ) নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্পার রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিসি (স্যান্ড-সিমেন্ট) ব্লক দিয়ে এই স্পারের সম্মুখভাগ এবং দুদিক মুড়িয়ে তা আরও শক্ত অবকাঠামোতে রূপান্তর করা হয়েছে। যমুনা আগ্রাসী রূপ নিয়েও স্পারে আঘাত হেনে যেন পরাস্ত হয়। তাই-ই হয়েছে। শক্ত অবকাঠামোর ওপর গড়ে ওঠা এই স্পারের কারণে মেঘাইঘাট আজ জেগে উঠেছে। মানুষের পদভারে মুখরিত। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মতো মেঘাইঘাট এলাকাও সাজানো হচ্ছে। সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ স্থাপন করে রঙিন ছাতা নির্মাণ সহ নানা আকর্ষণীয় স্থাপনা নির্মাণ করে বিনোদনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে। সুমুদ্রসৈকত না থাকলেও যমুনার তীরে কাজিপুরের মেঘাইঘাট এলাকা ঈদসহ নানা পার্বণে ছুটিতে ছুটে আসে আশপাশ অঞ্চলের হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ারপাড়া সমবয়সী মানুষের পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। এবারও ঈদ-উল-আযহায় নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ভিড় করেছেন মেঘাই পর্যটন এলাকায়। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে। সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, গার্মেন্টসকর্মীসহ সব পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় যমুনা তীরের মেঘাইঘাট। এ অবস্থা বিবেচনা করে এ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি পর্যটন মোটেল নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। কাজিপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন দুর্গম চরে। এই চরের মানুষ সরকারী বা বেসরকারী কাজে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মেঘাইঘাট ব্যবহার করে থাকে। ঘাট পারাপারে প্রতিদিন হাজারো মানুষের সমাগম হয়। চরের উৎপাদিত ফসলও বাজারজাত করতে এই মেঘাইঘাট ব্যবহার করা হয়। মেঘাইঘাটে যাত্রী ওঠানামাসহ পণ্যসামগ্রী সহজে বাজারজাত করার সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিএ এই ঘাটে একটি পন্টুন স্থাপন করেছে।
×