ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোমান হাফিজ

‘মিস আর্থ কুইন এ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নাজমুন

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

‘মিস আর্থ কুইন এ্যাওয়ার্ড’ পেলেন নাজমুন

‘মিস আর্থ কুইন এ্যাওয়ার্ড ’ পেলেন নাজমুন নাহার। সারা পৃথিবী থেকে আগত কয়েক হাজার বাংলাদেশীর মিলন মেলায় মুখরিত এক বিশেষ মুহূর্তে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড শহরের নাসাউ কলসিয়ামে অনুষ্ঠিত ৩৩তম ফোবানা সম্মেলনের শেষ দিন ১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এ নাজমুন নাহারকে এই বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননাটি নাজমুন নাহারের হাতে তুলে দেন ফোবানার কনভেনার নার্গিস আহমেদসহ ফোবানার আইকনপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনরা। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে পৃথিবীর পথে পথে পৌঁছে দেয়ার এক ভিন্ন ইতিহাস সৃষ্টি করেন নাজমুন নাহার। আমাদের গৌরব ও তারুণ্যের আইকন অদম্য সাহসী বীর এই নারীকে দেশের জন্য তার এমন বিরল অবদানের কৃতিত্বস্বরূপ তাকে দেয়া হয় এই সম্মাননা। সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী সাংবাদিক গুণীজনরাসহ আগত সকল বাংলাদেশীরা নাসাউ কলসিয়ামের হলরুমে অভিনন্দিত ও ভালবাসায় সিক্ত করেছিলেন নাজমুন নাহারকে। উল্লেখ্য, এই সম্মেলনে একই দিনে সম্মাননা পান বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ মাহমুদুন্নবী। বাবার এই সম্মাননা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ থেকে আসেন তার দুই কন্যা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী। ৩০, ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘নিউইয়র্ক স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ইয়ুথ কনফারেন্সে তার বিশ্ব ভ্রমণের ওপর ‘উইন দ্য ওয়ার্ল্ড ’ নামক এজেন্ডায় নাজমুন নাহার ইনস্পিরেশনাল বক্তব্য রাখেন এবং প্রেজেন্টেশন দেন। এ ছাড়াও ইয়ুথ কনফারেন্স প্রদর্শিত হয় তার জীবনের ওপর তথ্যচিত্র। সারা পৃথিবী জুড়েই তিনি তরুণদের এভাবে উৎসাহিত করছেন নানাভাবে। তিনি যে পথ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন তার বিশ্বভ্রমণ অভিযাত্রার মাধ্যমে তা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আলোকিত পথের মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি ইতোমধ্যে ১৩০টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন, তার সর্বশেষ দেশ ছিল কানাডা। আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তবর্তী নায়াগ্রা জলপ্রপাতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তিনি সম্পন্ন করেছিলেন তার বিশ্বভ্রমণের ১৩০তম দেশ। ইতোমধ্যে তিনি শিরোনাম হয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত গণমাধ্যমে। তার এই দুঃসাহসিক কৃতিত্বের অবদানস্বরূপ দেশ-বিদেশে নাজমুন নাহার পেয়েছিলেন বেশ কিছু সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ‘তারুণ্যের আইকন’ উপাধি পান অনন্যা সম্মাননার মাধ্যমে। তার বিশ্ব অভিযাত্রার মাইলফলকের সম্মাননাস্বরূপ জাম্বিয়া সরকারের গবর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি পান। এ ছাড়া এই বছর তিনি অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা লাভ করেন। এ ছাড়া পান জনটা ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল এ্যাওয়ার্ড। গত ১৯ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন তার অভিযাত্রা। ২০২১ সালের মধ্যে তিনি জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে পরিচিত করিয়ে দেয়ার মাইলফলক সৃষ্টি করবেন তার বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে।
×