ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে সনাতন ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরিশালে সনাতন ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ

কোমলমতি শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সনাতন ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ। শুরুতে শিশু-কিশোররা স্কুলটিতে শিক্ষাগ্রহণ করলেও এখন বয়স্করাও নিচ্ছে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা। বিনামূল্যে পাঠদান দেয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী গ্রামের বাসিন্দা প্রেমানন্দ ঘরামী নামের এক সমাজ সেবক উত্তর চাঁদশী সার্বজনীন রাধা-কৃষ্ণ ও কালী মন্দিরের সামনে ‘শারদাঞ্জলী গীতা নিকেতন’ নামে সনাতন ধর্মীয় স্কুল চালু করেন। পরবর্তীতে শারদাঞ্জলী ফোরাম নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ২০খানা শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রদান করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর এইড নামের একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্কুল পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছু শিক্ষা উপকরণ এবং শিশু-কিশোরদের উৎসাহ প্রদানের জন্য প্রতি মাসে একবার খিচুরি খাওয়ানের ব্যবস্থা করা হয়। তবে স্কুলটি খোলা আকাশের নিচে হওয়ায় বর্ষায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে সম্ভাবনাময় এ বিদ্যাপিঠটি। ওই স্কুলে বিনামূল্যে পাঠদান করানো শিক্ষক সুজন ঘরামী জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিদিন বিকেলে দেড় ঘণ্টা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মাদক, জঙ্গী ও সন্ত্রাস নির্মূল এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কোমলমতি শিশুসহ বয়স্কদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, স্কুলটি খোলা আকাশের নিচে হওয়ায় বর্ষায় অনেক সময় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমানন্দ ঘরামী জানান, হিন্দু সমাজে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কোন ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় তারা অনেক সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ছোট থেকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা পেলে অপরাধমূলক কাজের দিকে ধাবিত হতে পারবে না। অপরদিকে ধর্মের প্রতি দুর্বল থাকলে মাদকসহ অপারধমুলক কাজ থেকে তারা দূরে থাকবে। এমন ধারণা থেকেই স্কুলটি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে স্কুলটি খোলা আকাশের নিচে পরিচালিত হওয়ায় বৃষ্টি হলে ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি যে মন্দিরের সামনে স্কুলটি চালু করা হয়েছে সেটার অবস্থাও নাজুক। তাই তিনি স্কুলটি রক্ষায় সরকারী, বেসরকারী সংস্থাসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। -খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে
×