ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নারী শিক্ষায় এগিয়ে বামুনিয়া সোনাতনকাটি বালিকা বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 নারী শিক্ষায় এগিয়ে বামুনিয়া সোনাতনকাটি বালিকা বিদ্যালয়

ছায়া ঢাকা পাখি ডাকা অজপাড়াগাঁয়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বামুনিয়া সোনাতনকাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল বলতে যা বোঝায়, বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামটি সেরকম। সেই গ্রামের ওই স্কুলটি নারী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। এক সময় শিক্ষা থেকে দূরে থাকলেও এ গ্রামের মানুষ এখন শিক্ষার দিকে ঝুঁকেছে। নারীরাও পিছিয়ে নেই এক্ষেত্রে। এ গ্রামে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে যার নাম সবার মুখে মুখে তিনি হচ্ছেন তৎকালীন ডেপুটি কালেক্টর শহীদ রহমতুল্লাহ। মূলত তার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষ শিক্ষার আলো খুঁজে পায়। তার ছেলে সাংবাদিক কেবিএম মাহমুদ শিক্ষার গতি সঞ্চার করছেন। এজন্য তিনি এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষকে নিয়ে শিক্ষার আলো জ্বালাতে বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি বর্তমানে এ অঞ্চলে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া সাতমাইল গরুহাটের পাশ দিয়ে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গেলে শার্শা উপজেলার অজপাড়াগাঁ বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামের বুক চিরে চলে যাওয়া সড়কের পাশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। মূল সড়ক থেকে নেমে ইট বিছানো রাস্তা বেয়ে ১০/১২ হাত দূরেই স্কুলের প্রধান ভবন। চার পাশে গাছগাছালি আর হরেক ফুল গাছ দিয়ে সাজানো গোছানো পরিপাটি স্কুল চত্বর। সৃজনশীল মানুষের হাতের ছোঁয়ায় স্কুলটি দেখতে যেমন সাজানো গোছানো তেমনি লেখাপড়ার পরিবেশও সুন্দর। বর্তমানে বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় সবার সহযোগিতায়। এক সময় নারী শিক্ষা যেখানে দুরূহ ছিল সেখানে অনায়াশেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে। একজনের দেখাদেখি আরেকজন উদ্বুদ্ধ হচ্ছে শিক্ষায়। এ স্কুল থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকে চাকরি করছেন আবার অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। উচ্চশিক্ষার সিঁড়ি বেয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের ১৪ বছরের সভাপতি আব্দুল খালেক জানালেন, এলাকার সবার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৩ সালে ৪৬ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির বর্তমানে শিক্ষক ১৪ জন ও কর্মচারী ৪ জন। ছাত্রী সংখ্যা ৩শ’। ১৯৯৭ সালে এমপিওভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ নানাকাজে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনের ছোঁয়া রয়েছে। ২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্কুলের বিজ্ঞান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। -সাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×