ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বরূপকাঠির পেয়ারা পার্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 স্বরূপকাঠির পেয়ারা পার্ক

পিরোজপুর জেলার অধিকাংশ এলাকাই নদীবেষ্টিত। আর এই নদী স্বরূপকাঠীকে বিভিন্ন দিক থেকে পরিচিত করেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারা চাষ। এ চাষাবাদকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে পেয়ারা পার্ক। জানা গেছে, শত বছরের বেশি সময় ধরে আটঘর কুড়িয়ানায় চাষ হচ্ছে স্থানীয় জাতের পেয়ারা, যা সারা দেশে বরিশালের পেয়ারা (বাংলার আপেলখ্যাত) নামে সুপরিচিত। জুন থেকে শুরু হয়ে ৫ মাস চলে পেয়ারা সংগ্রহ। ছোট ছোট নৌকায় করে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় উপজেলার বিভিন্ন খালের ভাসমান হাটে। সেখান থেকে পেয়ারাগুলো বড় ট্রলার, ট্রাক ও লঞ্চযোগে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসছে এ বাগানে। এখানে এসে তারা ট্রলার অথবা নৌকা ভাড়া করে পেয়ারা বাগানে ঘুরে বেড়ান। তবে তাদের অবস্থানের কোনো যথাযথ স্থান না থাকায় তারা বিভিন্ন এলাকায় ট্রলার কিংবা নৌকাযোগে বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়ায়। তাদের যথাযথ বিনোদনের জন্য উপজেলার আদমকাঠী ও জিন্দাকাঠি গ্রামে এই প্রথম ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক যুবক মিলে গড়ে তুলেছেন পেয়ারা পার্ক। এ পার্কে রয়েছে খাবারসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। তবে স্বরূপকাঠী পর্যটন শিল্পটি যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু। পেয়ারা পার্কের প্রতিষ্ঠাতাদের দাবি যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হতো তাহলে দ্রুত সম্পসারিত হবে পর্যটন শিল্প। পেয়ারা বাগান হয়ে উঠতে পারে দর্শনীয় স্থান ও হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের উৎস। -শফিউল হক মিঠু, পিরোজপুর থেকে
×