ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশেই তৈরি হবে যেসব গাড়ি

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশেই তৈরি হবে যেসব গাড়ি

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হয়েছে গাড়ি প্রদর্শনীর বার্ষিক আয়োজন ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট অটো শো’। বাংলাদেশের অনেকেরই বাড়তি নজর থাকবে এ আয়োজনের দিকে। এখানে প্রদর্শিত বিলাসবহুল গাড়িগুলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে জার্মানির প্রতিনিধি দলের কথা হয়েছে। তাদের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জেনে নেয়া যাক কী সে গাড়িগুলো- মার্সেডিজ-বেঞ্জ ইকিউ সিলভার এ্যারো। ইকিউ সিলভার এ্যারো মডেলের এই গাড়িসহ মার্সেডিজ-বেঞ্জ এবং বিএমডব্লিউর নতুন মডেলের অনেক গাড়ি আগামীতে বাংলাদেশেই তৈরি হতে পারে। গেল সপ্তাহে জার্মানির ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এমন প্রস্তাবই রেখেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের কাছে। মার্সেডিজ- বেঞ্জ ভিশন আরবানেটিক কনসেপ্ট কার। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত পেটার ফারেনহোলৎস ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে জার্মানির দুই বিখ্যাত গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান মার্সেডিস-বেঞ্জ এবং বিএমডব্লিউর কারখানা করার প্রস্তাব দেন। বিএমডব্লিউ ভিশন এম নেক্সট। এ গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশ প্রস্তাবিত কারখানায় সরবরাহ করা হবে। বাকি যন্ত্রাংশ তৈরি করে পুরো গাড়ি এ্যাসেম্বল (একত্রিত করা) করা হবে বাংলাদেশের কারখানাতেই। মার্সেডিজ-বেঞ্জ ভিশন ইকিউএস, মার্সেডিজ এএমজি এফওয়ান ডব্লিউ০৯ইকিউ পাওয়ার এবং মার্সেডিজ-বেঞ্জ ইএসএফ ২০১৯। ২০১৯ বিএমডব্লিউ এবং মার্সেডিজ-বেঞ্জের গাড়ি বাংলাদেশে এ্যাসেম্বলিংয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রস্তাবটি ভাল, কারণ এখানে কারখানা হলে বাংলাদেশকে এমন দামী গাড়ি আর আমদানি করতে হবে না।’ সেডান গাড়ি ‘সেভেন সিরিজ এলসিআই’। এখন থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউর সেভেন সিরিজ মডেলের নতুন সেডান গাড়ি ‘সেভেন সিরিজ এলসিআই’। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিএমডব্লিউ গাড়ির পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরস লিমিটেডের শো-রুমে নতুন গাড়িটি উন্মোচন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণের সুবিধা, ড্রাইভিং এ্যাসিসটেন্স, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিএমডব্লিউর নতুন গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
×