ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি থেকে ফিরলেন রিক্ত নিঃস্ব ১৭৫ জন

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সৌদি থেকে ফিরলেন রিক্ত নিঃস্ব ১৭৫ জন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সৌদি আরব প্রশাসনের হঠাৎ ধর পাকড়ের শিকার হয়ে আরও একদল নারী পুরুষ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। রবিবার রাতে দেশে ফিরেন ১৭৫ জনের এই দল। তারা সবাই ছিলেন রিক্তহস্ত। কর্মীদের কারও ছিল খালি পা, কেউ আবার এক কাপড়েই ফ্লাইটে ওঠেন। রবিবার রাত ১১টা ৭ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাদের বেশ ক’জনের অভিযোগ বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে তাদেরকে ডিপোর্টেশান ক্যাম্পের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে কোন ধরনের পদক্ষেপ বা আইনী সহায়তা দেয়া হচ্ছে না। দূতাবাসের সামনে গিয়ে অনেক শ্রমিককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চিৎকার করতে দেখা যায়। রবিবার রাতে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিষয়ে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান সাংবাদিকদেরকে জানান- ফেরত আসা শ্রমিকদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবার সরবরাহসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরী সহায়তা দেয়া হয়। এ নিয়ে কাজ করছে নিজস্ব একটি টিম। এদিকে রাত গভীরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব ভুক্তভোগীরা জানান, সৌদি প্রশাসন প্রতিদিন শত শত বিদেশী কর্মীকে গ্রেফতার করছে। রিয়াদ ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে এখন হাজারখানেক বাংলাদেশী রয়েছেন। তারা সবাই দেশে ফেরা অপেক্ষায়। অনেকেই আবার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরতে হয়েছে। তারা সহজে ফিরতে না চাওয়ায় অনেকটা জোর করেই ফ্লাইটে তোলা হয়। আগামী এক সপ্তাহে আরও অন্তত এক হাজার শ্রমিক দেশে ফেরার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দেশে পাঠানো হয়েছে টাঙ্গাইলের আলিম ও মনির হোসেন, নরসিংদীর মোঃ জোবাইর, লক্ষ্মীপুরের ফরিদ, মুন্সিগঞ্জের শরিফ হোসেন এবং মেহেরপুরের সেলিম রেজাসহ অনেককেই। তাদের অভিযোগ, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোর করে ধরে জেলখানাতে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ আকামা নবায়ন করেনি বা তা বাতিল করে শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, এক্ষেত্রে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে সমস্যাটি বড় আকার ধারণ করবে। কিন্তু রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
×