ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের প্রতিনিধি দলের কাছে নিরাপত্তা ও নিজ ভিটায় যাওয়ার অনুমতি চেয়েছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চীনের প্রতিনিধি দলের কাছে নিরাপত্তা ও নিজ ভিটায় যাওয়ার অনুমতি চেয়েছে রোহিঙ্গারা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ চীনের প্রতিনিধি দলের কাছে নিরাপত্তা ও নিজ ভিটাবাড়িতে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। খবর বাসসর। প্রতিনিধি দল রবিবার ও সোমবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রত্যাবাসন বিষয়ে তাদের মনোভাবের কথা জানতে চেয়েছেন। প্রতিনিধি দলের কাছে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন তাদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হলে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয়া হলে তারা স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক বলে চীনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে পাঠানো যেতে পারে। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ চীনের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ে ২০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এক ঘণ্টার এই বৈঠকে প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনোভাব জানতে চায় চীনা প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনোভাবে কিছু পরিবর্তন এসেছে। রোহিঙ্গারা বলছে, রাখাইনে তাদের বাড়ি ঘরে যেতে দেয়া হলে এবং সেখানে থাকার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তারা স্বদেশে ফিরতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল সেদেশে পাঠালে যাবেন কিনা চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধানের এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গারা বলেন, ‘তারা সম্মত রয়েছে’। বৈঠক শেষে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনটি পরিবারের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও শিশুদের হাতে খেলনা তুলে দেন চীনের রাষ্ট্রদূত। এ সময় এসব পরিবারের ঘরে ঢুকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এর আগে সকাল ১০টার দিকে চীনের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ঘাট পরিদর্শন করেন।
×