ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে এক শিক্ষকে চলছে মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নান্দাইলে এক শিক্ষকে চলছে মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ উপজেলায় মাটিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরিতে মাত্র ১ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ওই একজনকেই দাফতরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এই বিষয়ে বার বার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও শূন্য পদগুলো পূরণ করা হচ্ছে না। সরজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১০ কিমি দূরে শেরপুর ইউনিয়নে মাটিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান। ৫২ শতক নিজস্ব জমিতে রয়েছে একটি পাকা ভবন। পাশেই দ্বিতল আরেকটি ভবনের কাজ চলছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা দৌড়ঝাঁপ করছে। এসময় অফিস কক্ষে বসে দাফতরিক কাজ করছেন একজন সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। তাঁকে সহযোগিতা করছেন দপ্তরী-কাম নাইট গার্ড। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৃথক দুই অধিবেশনে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে প্রথম অধিবেশনে পাঠদান করা হয় শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আর দ্বিতীয় অধিবেশনে পাঠদান করা হয় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। কিন্তু একজন শিক্ষক থাকায় তিনি এক ক্লাসে গেলে বাকি ক্লাসগুলো শিক্ষকশূন্য হয়ে যায়। এই বিষয়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার প্রশিক্ষণে যান। আর গত তিন মাস আগে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান সহকারী শিক্ষক শাফিয়া আক্তার। এরপর থেকে তিনি একাই পাঠদান চালাচ্ছেন। এতোগুলো ক্লাসে পাঠদান করাতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় অফিসিয়াল কাজে শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহবায়ক শাকিল আহমেদ বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই শিক্ষক পেয়ে যাবো। নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলি সিদ্দিক বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে ও একজন সহকারি শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় একজন দিয়েই আপাতত পাঠদান চলছে। শিক্ষক সংকট থাকায় দুইজনকে ডিপুটেশনে দেবার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
×