ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মহির পর দুর্নীতির অভিযোগ বাদল রায়ের

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মহির পর দুর্নীতির অভিযোগ বাদল রায়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে সোমবার বোমা ফাটিয়েছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। মঙ্গলবার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি বাদল রায়। তিনি বলেন, ‘গত নির্বাহী সভায় অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করানোর একটা এজেন্ডা ছিল। অডিট রিপোর্ট প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছে এতে অনেক ত্রুটি আছে। আরও এক সহ-সভাপতিসহ কয়েকজন বলেছি এটা ত্রুটিপুর্ণ এটা পাস করা যাবে না। আমাদের নোট অব ডিসেন্ট দেয়ার পরও এটা পাস করার ব্যবস্থা করেছেন। কিছু সদস্য আছে যারা এটা পাস করার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। কি জন্য সেটা করেছেন সেটা আমি জানি না।’ বাদল আরও যোগ করেন, ‘ফাইনান্স কমিটির সভায় আমরা অবজেকশন দিয়েছিলাম, যে এটা আগে আমাদের কাছে পাঠানো উচিত ছিল। ফাইনান্স কমিটিতে পাস হয়নি। নির্বাহী সভায় ফাইনান্স কমিটির সভায় জানান, ফিফা ও এএফসিতে হিসাব পাঠানো হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করায় ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান সেটা পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন সেটা না পাঠালে নাকি ফিফার বরাদ্দ আসবে না।’ সবকিছুর জন্য বাদল আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনকে, ‘সালাউদ্দিন সাহেব আমাদের কাছে রাখতে চান না। কারণ তিনি ফুটবলকে ভালবাসেন না। আমি টাকার একটা অংশ রেখে গিয়েছিলাম। সুস্থ হয়ে দেশে এসে যখন টাকার খবর কথা জিজ্ঞাসা করলাম সেগুলো কোথায়, তখন সালাউদ্দিন সাহেব তার সেক্রেটারিকে হুমকি দিয়ে আমাকে ফোন করালো। কিন্তু আমি ঠিক করলাম দায়িত্ব শেষ না করে আমি বাফুফে ছেড়ে যাবো না। তখন আমি সাধারণ সম্পাদককে ডেকে টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। এমনকি ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম সাহেবকেও জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি নিজেও অনেকের কাছেই বলেছেন ফেডারেশনে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। বলেছিলাম ফাইনান্স কমিটিতে এগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। অনিয়মের সব দায় বাফুফের সভাপতির। উনি নিয়মের ধার ধারেননি। যেটা মনে করেছেন সেটাই করেছেন। প্রথম সুপার কাপের ডেভেলপমেন্ট কমিটির টাকা দিয়ে প্রাইজমানি দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে উনি অবশ্যই সব কিছুই জানেন। জানবেন না কেন? এররকম একটা মর্যাদার প্রতিষ্ঠানে যদি টাকা-পয়সা এভাবে খরচ হয় কীভাবে চলে?’ বাদল আরও বলেন, ‘প্রত্যেক বছর এজিএম করার কথা বলেছি। কিন্তু সভাপতি করেননি। ফেডারেশন তার আমলে কখনই নিয়মের মধ্যে চলেনি। ২০১৬ সালে সভাপতি প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন একসঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করবো। ১১ বছরে আমরা ১১টি ভাল ফুটবলার তৈরী করতে পারিনি। এর দায় কে নেবে? অনেক গরমিল আছে। ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, আভ্যন্তরিন একটা অডিট করার কথা ছিল। হারুন সাহেবকে প্রধান করে একটা কমিটিও করা হয়েছিল। কিন্তু তার কমিটিকে দিয়ে অডিট না করিয়ে ফিফা-এএফসির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাই তিনি আর অডিট করেননি।’ সবশেষে বাদল হুমকি দিয়েছেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে আমরা অবশ্যই কঠোর অবস্থান নেব।’
×