ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কায় সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কায় সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এমন আশঙ্কাকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে বিজিবির টহল কঠোর করা হয়েছে। সীমান্তের সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোন রোহিঙ্গা যাতে কোন অবস্থাতে বা ফাঁক-ফোঁকরে সীমান্তের এপার থেকে ওপারে যেতে এবং ওপার থেকে এপারে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টেকনাফ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ ফয়সাল খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারী বা অপরিচিত কেউ যেন সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে না পারে সে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। বিজিবি জওয়ানরা সর্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পক্ষে গত সোমবার পেশকৃত প্রতিবেদনে বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের সর্বত্র অবশিষ্ট যেসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে তারা অবিরাম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। গণহত্যার ঝুঁকি নিয়েই সেখানে তারা বাস করছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ প্রতিবেদনে আবারও মিয়ানমারের শীর্ষ কয়েক জেনারেলকে বিচারের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তের সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন ভাবে লক্ষণীয় আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র চলছে। মূলত এ ধরনের সন্দেহের কারণে বিজিবি সীমান্তে জোরালোভাবে পালাবদল করে টহল দিচ্ছে। সূত্র জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীসহ দেশের ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন করে পরিস্থিতিকে উস্কে দিতে চাচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলে পড়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার খবর এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ৩২ ক্যাম্পে চলে আসছে। এছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে বর্বর ঘটনা ঘটছে সেসব চিত্রকে রাখাইন রাজ্যের বলে প্রচার করে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য অশিক্ষিত, ফলে সহজে তারা তা বিশ্বাসও করছে। এদিকে, দুদফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন থমকে যাওয়ার পর এ নিয়ে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। আসন্ন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি জোরালোভাবে আলোচিত হবে বলে দেশীয় ও বিদেশী বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে তার আগেই রাখাইন প্রদেশ থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর চাউর হয়েছে।
×