ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ জাপানের মুখোমুখি বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আজ জাপানের মুখোমুখি বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একই আসর, একই ভেন্যু। একই প্রতিপক্ষ। তবে সময়টা ভিন্ন, দুই বছরের ব্যবধান। দুই বছর আগে থাইল্যান্ডের চনবুরিতে জাপানের কাছে হারতে হয়েছিল তিন গোলে। এবারও কী একই ফল হবে? নাকি ভিন্ন ফল দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আজ খেলা শেষ হওয়ার পর। বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় ‘এএফসি অনুর্ধ-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর চূড়ান্তপর্বে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী জাপান। নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশ দল ০-১ গোলে হেরে যায় স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে। সেই হারের কষ্ট ঝেড়ে ফেলে এখন ভাল ফলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা। আজকের ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের কোচ ছোটন বলেন, ‘এটি একটি বড় টুর্নামেন্ট এবং আমাদের মেয়েরাও অনেক উন্নতি করেছে। গত ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তারা যে ভুলগুলো করেছিল সেগুলো যাতে এই ম্যাচে না হয় সেদিকে লক্ষ্য থাকবে।’ ২০১৭ সালে এই আসরে জাপানের কাছে হার নিয়ে ছোটন বলেন, ‘দুই বছর আগে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুবই কম ছিল। কারণ আমরা খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ তখন খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মেয়েরা এএফসি ও সাফে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।’ জাপানের কোচ মিচিশা কানো বলেন, ‘এএফসি কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। যে কারণে মেয়েরা কিছুটা নার্ভাস ছিল। এ জন্য তারা ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র করে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব। আমরা প্রথম ম্যাচের থেকে আরও ভাল ফুটবল উপহার দিতে চাই এই ম্যাচে।’ ‘এ’ গ্রুপে ১ ম্যাচে জিতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড। ১ পয়েন্ট নিয়ে জাপান দুইয়ে এবং সমান পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আছে তিনে। আর শূন্য পয়েন্ট নিয়ে চারে বাংলাদেশ। এই আসরে এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের আট দলের সেরা দু’টির একটি হতে পারলে মারিয়ারা খেলতে পারবে ২০২০ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে খেলাটা খুবই কঠিন লাল-সবুজবাহিনীর জন্য। আজ ম্যাচের আগে অবশ্য একটা দুঃসংবাদ আছে বাংলাদেশ দলের। দলীয় অধিনায়ক মারিয়া মান্দা এবং ফরোয়ার্ড তহুরা আক্তার হাল্কা ইনজুরিতে পড়েছে। তবে ছোটন আশ্বস্ত করেছেন এই বলে এটি কোন বড় সমস্যা নয়। দলের সবাই সুস্থই আছে এবং ম্যাচে ভাল করতে উজ্জীবিত। তিনি আরও যোগ করেন, ‘মারিয়া, তহুরা এবং শামসুন্নাহার ইতোমধ্যে জাতীয় দলে খেলার যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা অনেক কাজে আসবে এই টুর্নামেন্টে।’ এএফসি অনুর্ধ-১৬ নারী আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে (সাউথ এ্যান্ড সেন্ট্রাল) নিজেদের মাঠে ২০১৬ সালেও বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে এই আসরের মূলপর্বে অংশ নিলেও কঠিন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে ভাল করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই আসরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ এই দুটি দল ফিফা অনুর্ধ-১৭ নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। আগে তিনটি দল অংশ নিতে পারতো। ভারত যেহেতু ফিফা অনুর্ধ-১৭ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক, সেহেতু তারা এই আসরে সরাসরি খেলবে। কাজেই এবার এশিয়া কোটা থেকে ১টি দল কমে গেছে। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদই বটে। ২০১৬ আসরে মূলপর্বে যেতে একটি ধাপ পেরোতে হয়েছিল। কিন্তু এবার দল বেশি থাকায় দুটি ধাপ পেরোতে হয় বাংলাদেশকে।
×