ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তায় বন্যা॥ বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি

প্রকাশিত: ০১:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তিস্তায় বন্যা॥ বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার ভোর ছয়টা হতে বিপদসীমা (৫২.৬০) ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হু-হু করে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা অববাহিকার বসতবাড়ি ও আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। ফলে পরিবারগুলো বসতঘর ছেড়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র সুত্র জানায়, উজানে ভারী বৃস্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে তিস্তা নদীতে পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল হতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও সন্ধ্যা ৬টার পর হতে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়। আজ বুধবার সকাল হতে উজানের ঢল বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোলাপাড়া, তিস্তাবাজার, চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বানপাড়া ছোটখাতা ও ঝুনাগাছচাঁপানী ইউনিয়নের সোনাখুলী, ফরেস্টের চর গ্রামগুলোর বসতঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। বসতঘরগুলো হাটুসমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকে তিস্তা নদীর ডানতীর বাধে আশ্রয় নিয়েছে বলে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা জানায়। সুত্রমতে এলাকায় ৫ হাজার পরিবার তিস্তার হঠাৎ ঢলের পানির বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। পুর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের ৫শতাধিক পরিবারের বসতঘরে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন তার এলাকার দোলাপাড়া, তিস্তাবাজার, চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামগুলোর বাড়িঘর হাটু সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ছোটখাতা ও বানপাড়া গ্রামের মানুষজন ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে উঁচুস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
×