ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গণধর্ষণ মামলার বাদীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গণধর্ষণ মামলার বাদীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ আসমা বেগমের স্বামী মো. ছিদ্দিকের হাত-পা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চাপলি বাজারে প্রকাশ্যে ছিদ্দিককে বেধড়ক পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত গুড়িয়ে দেয়া হয়। তাকে অচেতন ও শঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। মহিপুর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণধর্ষণ মামলার আসামি শ্রমিক লীগ নেতা শাকিল মৃধার নেতৃত্বে ছিদ্দিকের ওপর নারকীয় হামলা চালানো হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। অভিযুক্ত শাকিল গংদের চাপলি বাজারে একটি টর্চার সেল রয়েছে। ছিদ্দিককে চাপাতির উল্টোদিক, হকিস্টিক ও রড দিয়ে পেটানো হয়। পুলিশ আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শাকিলের এক সহযোগী আবুল খায়েরকে (২৪) গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ধর্ষণ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি মামুন খলিফার বাড়ি থেকে চাপাতি, রড ও ভাঙ্গা হকিস্টিক জব্দ করেছে পুলিশ। জখম হওয়া ছিদ্দিক গণধর্ষণ মামলার বাদী। শাকিল সম্মেলনবিহীন কমিটি শ্রমিকলীগের মহিপুরের সাধারণ সম্পাদক। ত্যাগী নেতাকর্মীদের ভাষায় পকেট কমিটি। পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামী ছিদ্দিককে মারধর করে বেধে রেখে স্ত্রী আসমা বেগমকে ১৫ এপ্রিল রাতে বিলে নিয়ে সকাল পর্যন্ত গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শাহআলম মাঝিকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন ছিদ্দিক। মহিপুর থানায় ২৩ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড হয়। মহিপুর পুলিশ এ মামলায় রবিউল ও মামুনকে গ্রেফতার করে। পহেলা জুলাই মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুল আলম সাত জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী জানান, এ মামলার প্রধান আসামি শাহআলম মাঝিসহ অধিকাংশের দলের পদ-পদবী নেই। মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
×