স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বড় সঙ্কট এখন গণতন্ত্রহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘ জাতীয়তাবাদী নবীন দল’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণেই দেশকে গণতন্ত্রহীন করে রাখা সম্বব হয়েছে, দেশে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা সম্বব হয়েছে। অলিখিত বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করা না গেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, তা না হলে রাজপথের আন্দোলনেই তাঁকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ড. মোশাররফ বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শোভন-রাব্বানীকে সংগঠন থেকে অপসারণ করা হয়েছে, কিন্তু করে তারা জেলে যাবে জানতে চাই। তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় একটি দলের চেয়ারপার্সন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র দুই কোটি টাকার মামলায় যদি তিনি কারাব›ীদ থাকতে পারেন তবে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে কবে জেলখানায় যাবেন?
ড. মোশাররফ বলেন, যে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে সেই টাকা আজ ৬ কোটিতে পরিণত হয়েছে। দুই কোটির যায়গায় ৬ কোটি টাকা হলে আত্মসাত করা হলো কীভাবে? সরকারের উদ্দেশ্য ছিলো খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রেখে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া।
দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে অভিযোগ করে ড. মোশাররফ বলেন, কোনও একটা প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকার সরঞ্জাম পাহারা দেয়ার জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। এইভাবেই দেশ চলছে। এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।