ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে আলহাজ জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জামালপুরে আলহাজ জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রায় ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকা আলহাজ জুটমিল চালু করার এবং পাটব্যবসায়ী ও পাটকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা ১৫ কোটি টাকার মজুরি পরিশোধের দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মিলটির দুই সহস্রা শ্রমিক-কর্মচারীরা। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করে। জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় মিল গেটের সামনের রাস্তা, জামালপুর-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়ক ও সরিষাবাড়ী পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে আলহাজ জুটমিলের দুই সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। একই সাথে তারা জামালপুর-তারাকান্দি রেলপথের সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ২৫৪ নম্বর মেইল ট্রেনটি থামিয়ে সেখানে শ্রমিক-কর্মচারীরা সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। শ্রমিকদের এ আন্দোলনের কারণে জেলার সাথে সড়ক ও রেলপথ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সমাবেশে অবিলম্বে আলহাজ জুটমিল চালু করার এবং শ্রমিক-কর্মচারী ও পাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আলহাজ জুটমিলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ, পপুলার জুটমিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ চলাকালে বেলা ২টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জামালপুর থেকে মোবাইল ফোনে সমাবেশ স্থলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আলহাজ জুটমিল মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আশ^াস দেন। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিক কর্মচারীরা আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ তুলে নেন। পরে অবরোধের কারণে আটকা পড়া মেইল ট্রেনটি প্রায় দেড় ঘন্টা বিলম্বে সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। প্রঙ্গত, আলহাজ জুট মিল কর্তৃপক্ষ ৮০ কোটি টাকার লোকসান ও ব্যবসায়ীদের পাট বিক্রির পাওনা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরির পাওনা প্রায় ১৫ কোটি টাকার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গত বছরের ২০ জুলাই মধ্যরাতে আলহাজ জুট মিল কর্তৃপক্ষ মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
×