ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর অর্জন

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর অর্জন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ডে’ সম্মানিত করা হয় ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উপদেষ্টা টিপি শ্রী নিবাসন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সংস্থার উৎকর্ষ পদকটি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপার্সন দিনা দাস। মানপত্রে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা আধুনিক নতুন বাংলাদেশের স্থপতির মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, ভারতরতœ ড. এপিজে আবদুল কালামের স্মরণে এই এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ডটির প্রচলন করা হয়। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তামিলনাড়ুর সুযোগ্য সন্তানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তামিলনাড়ু সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক পদকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭টিতে। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিস্মরণীয় কর্মপরিকল্পনা দেশটিকে উন্নয়নের যে অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে, সেখানে তাঁর যুগান্তকারী নেতৃত্ব বিশ্বের অনেকের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাঁর মহৎ ও বৃহৎ মহাপ্রকল্পগুলো বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নতুন সময়ের এক অসাধারণা নির্মাতা। তাঁর এই সফল যাত্রাপথে একাত্ম হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অদম্য ইচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী পদকটি গ্রহণ করে দেশের সাধারণ জনগণকে উৎসর্গ করেছেন। দৃঢ়কণ্ঠে আবারও পুনরুক্তি করেন, দেশের মঙ্গল আর সমৃদ্ধিতে নিজের আকাক্সক্ষা ও সর্বশক্তিকে নিবেদন করেছি। ক্ষমতার অপকৌশল প্রয়োগে নয়, বরং মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে ক্ষমতা ও শক্তিকে যথার্থ পথে পরিচালিত করতে সচেষ্ট হয়েছি। জনগণের প্রতি সর্ববিধ দায়িত্ব পালনে তাঁর দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে দৃঢ়মত পোষণ করেন সবসময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে যা যা দরকার করে যাচ্ছেন, ভবিষ্যতে আরও করতে হবে। ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত সংবাদটিকে প্রচ্ছদ হিসেবে উপস্থাপন করায় দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আরও দু্যুতিময় অবস্থায় নিয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে ‘শেখ হাসিনা দি মাদার অব হিউমিন্যাটি’ সংবলিত প্রচ্ছদসহ সাময়িকীটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে নতুন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আবেদনের গৃহীত কর্মপ্রক্রিয়া সবার সামনে চলে আসে। মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত, গৃহ ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যেভাবে নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত হয়ে বাংলাদেশের সীমানায় দলে দলে অনুপ্রবেশ করে তা বিশ্ব ইতিহাসের এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। তেমন অবর্ণনীয় দুর্যোগকে ঠা-া মাথায়, স্থিরচিত্তে, মানবিক মূল্যবোধে, সহনশীলতায় যেভাবে সামলে নিয়েছেন তা আজও এক অকৃত্রিম মমতাময়ী জননীর চিরস্থায়ী রূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আদর্শিক চেতনা এবং অকৃত্রিম দেশাত্মবোধের যে অনন্য ব্যক্তিত্ব সেটা শুধু তার ক্ষমতা আর গুণাবলীর পরিস্ফুটনই নয়, তার চেয়েও বেশি একটি উন্নত অগ্রগামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন অভিযাত্রারও অনন্য নিদর্শন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাক্সিক্ষত প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সাধারণ জনগোষ্ঠীকে উপহার দেয়া। সেই লক্ষ্যেই তিনি নিঃস্বার্থ কর্মযোগে প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছেন।
×