ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফিরিয়ে দিতে চাই তাঁর ’৭২-এর সংবিধানের সবচাইতে মূল্যবান একই সঙ্গে বাঙালী সংস্কৃতির হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা অনন্য প্রাণবীজ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’! আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, বাঙালী সংস্কৃতির এই অনন্য বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবার থেকে এবং তাঁর মাঠে-ঘাটে সাধারণ জনতার সঙ্গে মিশে এ জাতির মরমী সাধক সাঁইদের মানবতাবাদী গানের ভেতর থেকে, রবীন্দ্র-নজরুলের দেশপ্রেমের এবং ধর্মের উর্ধে মানবপ্রেমের জয়গানকে উপলব্ধি করে বাঙালীর সংস্কৃতির এ বৈদূর্যমণির মতো বৈশিষ্ট্যকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। সে কারণে সেটিকে তিনি জাতির মুকুটসদৃশ স্থান সংবিধানে স্থাপন করতে ভুল করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে তাঁর জন্মদিনে কি উপহার দিলে জাতি গৌরবান্বিত হবে, আবার তিনিও গৌরবান্বিত হবেন এবং তার মুখে ফুটে উঠবে বিমল হাসি। প্রথমেই আসবে তাঁর প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ তাঁকে কি উপহার দিয়ে তাঁর মুখে হাসি ফোটাবে? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই’। ঠিক এমন কথাই বলেছেন শেখ হাসিনা! স্মর্তব্য, তিনি এই উপমহাদেশে প্রথম রাজনৈতিক নেত্রী যিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হাতে বই খাতা কলম তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ছাত্রলীগ প্রথমত: পড়াশোনা করবে। পড়াশোনা ছাড়া ভাল রাজনীতির চর্চা কখনও জনকল্যাণকর, জনবান্ধব হতে পারে না- এই সত্যের ওপর তিনি বার বার জোর দিয়েছেন। এটি শুধু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের জীবনের কষ্ট, নিঃসঙ্গতার বিষয় পড়ে জানা যাবে না বরং তার কারা জীবনে অজস্র বই পড়া বঙ্গবন্ধুকে যে অনন্য নেতায় পরিণত করেছিলÑ সে সত্যটি ছাত্রলীগের তরুণ প্রজন্মকে উপলব্ধি করতে হবে এবং নিজেদের ভাল ভাল অজস্র বইপড়ার মাধ্যমে মানবিক, তথ্য জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা অর্জন করে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, নির্লোভ, জনবান্ধব ছাত্র নেতা হয়ে উঠতে হবে। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সিট বণ্টন, গেস্টরুমে নতুন ছাত্রদের নানারকম অমানবিক নির্যাতন করা, যে কোন উন্নয়ন কাজে চাঁদা বা অর্থ দাবি করার কাজ, শিক্ষকদের ওপর হামলা ইত্যাদি যে বা যারাই করে থাকুক না কেন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এসব অনৈতিক কর্মকা- বন্ধ করার কাজে যখন আত্মনিয়োগ করবে, একমাত্র তখনই তাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হবেন- এটি আমরা বুঝতে পারি। ওরা যদি না বোঝে, তাহলে বুঝতে হবে ওরা বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনা, কারও আদর্শে বিশ্বাসী নয়। এখন জানা যাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের কেউ কেউ চাঁদাবাজি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট বণ্টনে জড়িত এবং বিলাসী জীবন-যাপন করছে যা ছাত্রলীগকে কলংকিত করেছে। অথচ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দরিদ্র বস্তিবাসী শিশুদের পড়াশোনার জন্য কাজ করবে, তাদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা দেবে, তাদের চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা করাবে, প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে, মাঝে মাঝে ওদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে, বৃদ্ধ নিবাসে শিশুদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করাবে, বন্যা-দুর্যোগে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ করবে, নিজ জেলায় গ্রামের রাস্তা-ঘাট, সেতু, স্কুলের অবস্থা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করবে, বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা বা বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাদের সরকারী সহায়তার কার্ড পায়নি তাদের কার্ড দেবার ব্যবস্থা করা- এগুলোই তো ছাত্রলীগ-নেতা কর্মীদের কর্তব্য। তারা এলাকার প্রকৃত দরিদ্র, বৃদ্ধ, বিধবা, পঙ্গু, স্কুলের দরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি ঠিক মতো পৌঁছেছে কিনা, না পৌঁছালে সে সরকারী সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা কি ছাত্র নেতা-নেত্রীদের কাজ নয়? এরা কি জানে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর অধীনে স্থানীয় জনগণ কতরকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী এবং সেসব অধিকার বঞ্চিত কারা? আমি তো প্রায়ই ভিক্ষুক, রিক্সাওয়ালাদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি এদের অধিকাংশই এসব সুবিধা পাচ্ছে না। ইউপি চেয়ারম্যান বা কোন মেম্বারকে টাকা না দিলে ওরা ভাতা পাবে না, সুতরাং ওরা সুবিধাগুলো পাচ্ছে না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কিছু সংখ্যক বাড়ি পেয়েছে সচ্ছল ব্যক্তি, যাদের দরিদ্রের প্রাপ্য ভোগ করতে চক্ষুলজ্জাও নেই! ছাত্রলীগের নেতারা, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের এমপিদের এসব দুর্নীতি দেখা ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ তো প্রধান দায়িত্ব! তারা তো গ্রামে মনে হয় মেহমান হয়ে পোলাও কোরমা খেতে এবং কিছু পরিচিত জনের ফাইল ক্লিয়ার করতে যান! বেশিরভাগ সময় তারা ঢাকা থাকেন! তবে, আমলা-প্রশাসকদের চাইতে তারা বিদেশ ভ্রমণ কম করেন। এ কথা বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ় বিশ্বাসী সবাই জানেন যেÑ তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে যে প্রশাসন ব্যবস্থাটি পেয়েছেন সেটি বিএনপি-জামাত জোটের সেই কামাল সিদ্দিকীর ক, খ, গ, ঘ নামীয় চারদলীয় জোট এবং খালেদা তারেকের প্রতি আনুগত্যের রেটিং অনুযায়ী নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শক্ত একটি যন্ত্র। সেটিকে পরিচালনা করে সরকারকে তার সবরকম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, কর্মকা- বাস্তবায়ন করতে হয়। যেহেতু এই প্রশাসন দ্বারাই সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বদল হলে পুরো প্রশাসনের সব প্রশাসককে বদল করা হয়। ওদের চাকরি স্থায়ী নয়, চুক্তিভিত্তিক। তবে, খুব কম দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। পাঠক, এমন কি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী সম্ভবত: উপলব্ধি করেন না, কি অসম্ভব কঠিন প্রশাসনিক বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তার প্রথম ‘৯৬-এর, এবং তৎপরবর্তী, আরও কঠিন, চার জোটের রেখে যাওয়া পুরোপুরি জামায়াত-বিএনপির আদর্শহীন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসী একটি পদে পদে বিঘœ সৃষ্টিকারী প্রশাসনকে নতুন আইন, তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে, বেতন বৃদ্ধি করে, জমি-বাড়িসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ধীরে ধীরে প্রশাসন যন্ত্রকে কিছুটা নিরপেক্ষ, কিছুটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ফিরিয়ে এনে সব সেক্টরে উন্নয়ন সংঘটনে সমর্থ হন। যদিও, জামায়াত-বিএনপি ঘরানার পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিদের অবস্থান প্রশাসনে যেমন রয়েছে, তেমনি অন্য পেশাজীবীদের মধ্যেও এখনও বিরাজমান! তারা যখনই যেখানে পারছে, সরকারের কার্যক্রমে বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করছে- টেলিফোন, বিদ্যুত, গ্যাস ইত্যাদি সেবাখাতে তারা কর্মীদের দিয়ে হয়রানি করে মুক্তিযুদ্ধপন্থী পরিবারগুলোকে সেবা বঞ্চিত রাখছে। এটি আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। এখন দেখা যাচ্ছে, রাস্তা-ঘাট-বাঁধ-সেতু তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে যাচ্ছে। সবাই বোঝে ঠিকাদার নামক এক অতি দুর্নীতিগ্রস্ত শ্রেণী অতি নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করার ফলে এই অতিপ্রয়োজনীয় সেবাটি এখনও অন্যান্য দেশের রাজপথের অর্ধেক মানও অর্জন করতে পারেনি! সরকারের যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী একই আছেন দীর্ঘদিন যাবত। তিনি একজন আন্তরিক মানুষ। তাঁর কাছে এবং সরকারের কাছে জনগণের চাওয়া রাস্তা-ঘাট-সেতু অন্তত ভারত, পাকিস্তানের মানের হওয়া উচিত। এই ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে সৎ, দেশপ্রেমিক ঠিকাদার নির্ধারণ দ্রুতই করতে হবে যারা দেশের মান-সম্মান নিয়ে চিন্তা করবে। কিছু আন্তরিক, দেশপ্রেমিক প্রাক্তন ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা এ কাজে এগিয়ে এলে দুর্নীতিবাজ, লোভীরা বাদ পড়বে। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে জন্মদিনে উল্লেখিত উপহার দিয়ে নিজেরাও গৌরবান্বিত হবেন। চিকিৎসক, শিক্ষাবিদদের জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। মশা-মাছি নিধনের উন্নত ওষুধ ও পদ্ধতি স্থানীয়ভাবে আবিষ্কার করতে হবে, একই সঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গ্রামাঞ্চলে যাবার একটি শিডিউল তৈরি করে তা কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসকদের একটি দল কিউবার উন্নত চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। প্রাইভেট হাসপাতালেও অন্তত সপ্তাহে একদিন দরিদ্রদের ফ্রি চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করা দরকার, কেননা তারাও এই মুক্তিযুদ্ধে প্রাপ্ত স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। দরিদ্রের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহায্য নিয়ে একটি ব্যবস্থা করা যায়। পড়াশোনার মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও জন্মনিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কমসংখ্যক শিক্ষার্থীকেই ভাল মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করা সম্ভব। বড় শ্রেণীকক্ষের পঞ্চাশ-ষাট জন শিক্ষার্থীর ভাষা ও গণিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান একজন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব হয় না, এটি হতো যদি শিক্ষার্থীদের বাবা, মা শিক্ষিত হতেন এবং নিজ স্বার্থে ছেলেমেয়েদের বাড়িতে শিক্ষার বুনিয়াদটা শক্ত করে দিতেন। এটি ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্ভব হয়েছে যেখানে ন্যূনতম চার প্রজন্মের মানুষ উচ্চশিক্ষিত হয়েছে যারা সন্তানের সুশিক্ষার বুনিয়াদ গঠনে শিক্ষকের পাশাপাশি নিজেরা অবদান রেখেছেন। পাকিস্তানের জনসংখ্যার ঘনত্ব বাংলাদেশের চাইতে কম, শ্রীলংকারও জনসংখ্যা কম, সেখানে শিক্ষকদের শিক্ষার মান ভাল এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষায় তারা শিক্ষিত করতে পারছেন। এ কারণে, আমাদের নিরক্ষর, অল্প শিক্ষিতের সন্তানদের বাবা-মা, ছেলে-মেয়েদের কোচিং গ্রহণ করতে বাধ্য হন। উচ্চশিক্ষিত চাকরিজীবী বাবা-মা ও সন্তানদের ভালমানের কোচিং প্রদানের ব্যবস্থা করেন যাতে সন্তানদের শিক্ষার মান ভাল হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনেক কষ্টের মধ্যে একটা সৌভাগ্য যে, তার ছেলে, মেয়ে, শেখ রেহানার ছেলেমেয়ে বাংলা না শিখলেও ভাল মানের ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষা ভারতে এবং ইংল্যান্ডে অর্জন করেছে- যে আন্তর্জাতিক ভাষাটি অন্যান্য সব ধরনের দক্ষতা অর্জনের সিংহদুয়ার। অনেক ম্যাট্রিক পাস, আইএ পাস ছেলেদের দিয়ে দীর্ঘকাল যাবত টাইপের কাজ করাতে গিয়ে তাদের বাংলা, ইংরেজীর দুর্বলতা দেখে দুঃখবোধ করি। তবে, তাদের চার পাঁচজন আমাদের বাংলা, ইংরেজী লেখা টাইপ করতে করতে ওদের ভাষা দুটি উন্নত হওয়ায় আমাদের আনন্দিত করে ওরা ভাল চাকরির পরীক্ষায় ভাল করে চাকরি পেয়েছে। এখন যারা টাইপ করছে তাদেরকে বাংলায় উন্নতি করতে দেখছি। যাই হোক, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ চাইলে নিজ নিজ এলাকায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজী ও গণিতের দক্ষতার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যলয়ের ছুটির সময় ভাল ছাত্রদের ব্যবহার করে, স্পেশাল কোচিং করাতে পারেÑ যা হবে তাদের, আমাদের ও প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের উপযুক্ত উপহার। প্রধানমন্ত্রী, দেশে অপহরণ ও গুম করার ঘটনাগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দোষীদের দ- দিয়ে আমাদের সবার এবং গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের চোখের জল বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন দয়া করে। প্রধানমন্ত্রী, ব্লু-ইকোনমির কাজকে ত্বরান্বিত না করে একদল আমলা শ্লথ গতিতে কাজ করছে। আমলাদের কাজকে টাইম লাইন দিয়ে বেঁধে দিন এবং মিয়ানমারের চাইতে আমাদের পিছিয়ে দেবার জন্য দায়ীদের সরিয়ে দিন। মিয়ানমার চীনের সাহায্যে এই ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে আর আমরা দেশ-বিরোধীদের এখনও সহ্য করে পিছিয়ে থাকব তা হতে পারে না। আমাদের অনেক সম্পদ এখনও সমুদ্র তলদেশে রয়ে গেছেÑ যা দ্রুতই উত্তোলন করতে হবে জাতির উন্নয়নের স্বার্থে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে করণীয়গুলোই স্মরণ করিয়ে দিলাম। জানেন তো, বঙ্গবন্ধুর পর জাতি আপনাকেই তাদের সবরকম স্বার্থ সুরক্ষার বান্ধব হিসেবে পেয়েছে। আপনার পর নিশ্চয় তরুণ প্রজন্ম থেকে তেমন নেতৃত্ব উঠে আসবে। একদিন হয়তো গণজাগরণ মঞ্চের মধ্য থেকে অথবা প্রকৃত ছাত্রলীগ-যুবলীগ এর বর্তমান তরুণ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্য থেকে তারা উঠে আসবে আপনার রেখে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণ করার যোগ্যতা নিয়ে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×