ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৪৯ লাখ ব্যারেলের স্থলে বর্তমানে শোধন করা হচ্ছে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল

সৌদি আরামকো তেল প্লান্ট আংশিক চালু

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সৌদি আরামকো তেল প্লান্ট আংশিক চালু

সৌদি আরব ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তেল শোধনাগার আংশিকভাবে চালু করেছে এবং এর উৎপাদন ক্ষমতা কয়েক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর দেশটির ইতিহাসে তেল উৎপাদন সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। সৌদি আরব বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছে যে, অপরিশোধিত তেল রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে না। দেশটির কাছ থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই খবর পাওয়া যায় মঙ্গলবার। এর ফলে বাজারে একটা সুস্পষ্ট বার্তা এলো। কারণ, সৌদি আরামকোর আবকাইক প্ল্যান্টে হামলা কতটা ভয়াবহ সেটা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা চলছিল। হামলার আগে বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ তেল উৎপাদন করত প্ল্যান্টটি। ব্লুমবার্গ। প্রাথমিকভাবে যেটা ধারণা করা হয়েছিল অগ্রগতি তার চেয়ে ধীরগতিতে হচ্ছে এবং অপরিশোধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কারণ সৌদি আরবের তেল সরবরাহের বিষয়ে উচ্চমাত্রার ঝুঁকি ছিল। জেদ্দায় এক ব্রিফিংয়ে জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ফলে যে ক্ষতি হয়েছিল গত দুদিনে অর্ধেকেরও বেশি উৎপাদন করে সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, অপরিশোধিত তেলের মজুদ থেকে উত্তোলন করে এই মাসে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম হবে কোম্পানিটি। আরামকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন নাসের বলেন, আবকাইক শোধনাগারে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হচ্ছে। আবকাইকে হামলার পূর্বে প্রতিদিন যে ৪৯ লাখ ব্যারেল তেল শোধন করা হতো, এ মাসের শেষ নাগাদ সেই পরিমাণ তেল শোধন করতে পারবে। গত শনিবার এই তেল শোধনাগারে হামলার পরপরই কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, কয়েক দিনের মধ্যে বেশিরভাগ উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে। জ্বালানিমন্ত্রী ও সিইও ক্রেতাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আরামকোর অপরিশোধিত তেল রফতানি এ মাসে কমবে না। কারণ তারা কৌশলগত মজুদ থেকে তেল রফতানি করবে। আর বিদেশে রফতানির জন্য বিপুল পরিমাণ তেল বিভিন্ন শোধনাগারে রয়েছে। তবে জ্বালানিমন্ত্রীর দেয়া চিত্র অনুযায়ী, হামলার ঘটনা কাটিয়ে উঠতে সৌদি আরবের কয়েক মাস সময় লাগবে। প্রিন্স আব্দুল আজিজ বলেন, আগামী নবেম্বরের শেষ নাগাদ প্রতিদিন পূর্ণক্ষমতার এক কোটি ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন সম্ভব হবে। তবে এ মাসের শেষে গিয়ে প্রতিদিন এক কোটি ১০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, অক্টোবরে প্রতিদিন ৯৮ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সৌদি আরবের। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদির দুটি তেল শোধনাগারে হামলা চালালে বিশ্ব তেলের বাজারে কিছুটা অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা দেখা দেয়। যদিও আরামকো আবকাইকের ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে, তবে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আরও সংঘাতের সম্ভাবনা বাজারে জেঁকে বসেছে।
×