ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তেঁতুলিয়ায় বিলীন লঞ্চঘাট ॥ যাত্রী দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তেঁতুলিয়ায় বিলীন লঞ্চঘাট ॥ যাত্রী দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট ও বেশ কয়েকটি দোকানসহ বিশাল এলাকা তেঁতুলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পন্টুন ভাসছে নদীর মধ্যে। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঢাকাগামী ১০টি দোতলা লঞ্চের সহস্র্রাধিক যাত্রী। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বিশাল এলাকা নিয়ে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটটি তেঁতুলিয়ার নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় মান্না নামের এক যুবক বলেন, ‘লঞ্চ ঘাট এলাকার ৮-১০টি দোকানসহ প্রায় ৩ একর জায়গা বিলীন হয়ে গেছে। ভয়ে ঘাট এলাকায় অন্যান্য দোকানপাট অনত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঘাট বিলীন হয়ে যাওয়ায়, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও কালিশুরী এলাকার লঞ্চ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এ ঘাটে ঢাকা, বরিশাল ও ভোলা, কালাইয়া ও রাঙ্গাবালী রুটের ছোট বড় ১০টি লঞ্চ প্রতিদিন নোঙ্গর করে। এই ঘাট দিয়ে সহস্রাধিক যাত্রী আসা যাওয়া করে। বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, লঞ্চ ঘাটের পন্টুনটি তীর থেকে ৫শ’ ফুট দূরে ভাসছে। পন্টুনে ওঠার পুল ও সেটের দুই তৃতীয়াংশ নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ২০-২৫টি দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। আলমাস নামের এক যুবক জানান, শুধু লঞ্চ ঘাট এলাকাই নয়, ওই রাতেই ঘাটের পশ্চিম দিকে বিশাল এলাকাসহ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও বিপুলসংখ্যক গাছগাছালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাতক্ষীরায় প্রতিমা ভাংচুর স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, পরিবারের কল্যাণে মানত পরিশোধ করার জন্য এবার তিনি তার বাড়ির পুকুরের পাশে অস্থায়ীভাবে মন্দির নির্মাণ করে তাতে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তিনি ম-পের চারধারের বেড়ায় দড়ি বেঁধে বাড়ি চলে যান। বুধবার সকালে এসে দেখা যায় ম-পের পশ্চিম পাশের বেড়া ভেঙ্গে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে কে বা কারা দুর্গা প্রতিমার মাথাটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ এই ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
×