ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাহালুতে ‘সেথুয়া’ নাটকের মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কাহালুতে ‘সেথুয়া’ নাটকের মঞ্চায়ন

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বগুড়ার কাহালুতে উপজেলা মিলনায়তনে কাহালু থিয়েটারের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দুই বাংলার নাট্য উৎসব শনিবার শেষ হয়েছে। উৎসবের শেষ দিনে ভারতের মালদহ গাজোলের বিষাণ নাট্য সংস্থা শ্যামলতনু দাসগুপ্ত রচিত তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত ‘সেথুয়া’ নাটক মঞ্চায়ন করে। নাটকে অভিনয় করেন সুবীর ঠাকুর, গদাধর রায়, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধন ঠাকুর, উত্তম কুন্ডু, শ্যামলী ব্যানার্জী, টুম্পা ঠাকুর, উৎপল সাহা, কৃষ্ণ সরকার এবং রাজকুমার কুন্ডু। আলোক প্রক্ষেপণে উত্তম কুন্ডু এবং তাপস দাস। আবহসঙ্গীত চিরদীপ সরকা, রূপসজ্জা শ্যামলী ব্যানার্জী এবং সুনীল রায়। মঞ্চসজ্জায় গুপীনাথ দাস। ‘সেথুয়া’ নাটকের গল্পে দেখা যায় গ্রামের হিন্দু এবং মুসলমান নেতারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জমি অধিগ্রহণের ঘটনাকে খানিকটা আড়াল করতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়ে মন্দির মসজিদে দাঙ্গা লাগায়। একটি মুসলিম পরিবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তোপের মুখে পরে। বাড়িতে হামলা করে আগুন দিলে আহত অবস্থায় নিজ ভিটা ছেড়ে অন্য এক বাড়িতে আশ্রয় নেয় মুসলিম পরিবারটি। আশ্রয়দাতা মন্মোথের স্ত্রী অখুশি, তারা হিন্দু আর আশ্রয় নেয়া জলিল এবং তার মেয়ে ফাতেমা মুসলমান। মন্মোথের হাতে জলিল তার মেয়ে ফাতেমাকে দেখাশোনার ভার দিয়ে মন্মোথের বাড়িতেই মারা যায়। দাঙ্গায় একজন হিন্দু নেতাও মারা যায় যে কিনা এই অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। হঠাৎ উগ্রবাদীরা শুধু মুসলমানকে আশ্রয় দেয়ার জন্য মন্মোথের বাড়িতেও হামলা করে। পরবর্তীতে বিদ্বেষমূলক পরিস্থিতির অবসান হয়। সবাই বুঝতে পারে হিন্দু মুসলমান যেটা যার ধর্ম হোক না কেন সবাই আসলে মানুষ। মানবতার ওপর আর কিছু হয় না। আমাদের সবার রক্ত লাল এক আকাশের নিচেই সবার বসবাস। সব শেষে মনুষ্যত্বের জয় হয়। এদিকে উৎসবের শেষ দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল হান্নান। অতিথি উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ লালু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, রোকেয়া অঞ্চলের সমন্বয়কারী জুলফিকার চঞ্চল, পু-্রু অঞ্চলের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাহালু থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদ আলী বাদশা। অনুভূতি প্রকাশ করেন ‘সেথুয়া’ নাটকের নির্দেশক ও দলপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যয়। তিনি এ সময় আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিষাণ নাট্য উৎসবে আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুনসুর রহমান তানসেন।
×