সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নিতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারও দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট পাচ্ছে, সেখানে পুলিশ ভেরিফিকেশন একটা বড় বিষয়, তাহলে কি পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সংস্থা জড়িত। স্থানীয় চেয়ারম্যান, জন্ম নিবন্ধন যিনি করেন তিনি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সব কিছু হওয়ার পর পুলিশ যায় এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি কিনা তা নির্ণয়ের জন্য। তিনি বলেন, এত নজরদারির পরও চতুরতার সঙ্গে যিনি এ কাজ (পাসপোর্ট) করে থাকেন তাকে ধরা হচ্ছে। যিনি সহযোগিতা করছেন- পুলিশ হোক কিংবা অন্য যে হোক তাকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি তারা যাতে পাসপোর্ট না পায়। আমরা আট লাখ রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক নিয়ে আইডি কার্ড দিয়েছি। এদের বাইরে আরও তিন লাখ আসছে, যাদের আমরা নিতে পারিনি। এই ৮ লাখ যারা আসছে তাদের যে কেউ পাসপোর্ট নিতে যাচ্ছে নেটের মধ্যে পড়ে গেছে। আমাদের যে সফটওয়্যারটি আছে তা ইন্টিগ্রেটেড। যিনি অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এসব কাজ করে থাকেন তাকেও ধরা হচ্ছে। যিনি সহযোগিতা করছেন- পুলিশ হোক কিংবা অন্য যে কেউ তাকেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়ার জন্য সহযোগিতা করবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলবে কিনা- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এমনকি সরকারের ঘনিষ্ঠজনদেরও ছাড় দেয়া হচ্ছে না, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো বটেই। কিছুদিন আগে একজন ডিআইজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে আইন ভঙ্গকারী হিসেবে। যেই আইন ভাঙবেন কিংবা দুর্নীতি করবেন তাকে আইন বা বিচারের মুখোমুখী হতে হবে। এ ব্যাপরে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা তাই। তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। রাজধানীতে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। প্রতিটি মন্দিরে সর্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশ।