ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি

প্রকাশিত: ১২:১১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি

আই অফ সাহারা পশ্চিম সাহারা মরুভূমির মাঝখানে এক অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৃষ্টি আই অফ সাহারা। ওপর থেকে দেখলে এটিকে ষাঁড়ের চোখের মতো লাগে। মৌরিতানিয়ার ৪০ কিলোমিটার মরুভূমি অঞ্চলজুড়ে এর বিস্তৃৃতি। আই অফ সাহারা অঞ্চলটি অনেক পাথর দিয়ে গঠিত, যেখানে রয়েছে ১০০ মিলিয়ন বছর আগের পাথরও। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব শুরু হওয়ার আগের কিছু পাথরও এখানে রয়েছে। অঞ্চলটি ওপর থেকে নীলাভ ও ধূসর দেখায়। আই অফ সাহারাকে স্ট্রাকচার রিসোটও বলা হয়। গ্রেট ব্লু হোল গ্রেট ব্লু হোলের অবস্থান দক্ষিণ আমেরিকান দেশ বেলিজের বাইরে। এ জন্য একে গ্রেট বেলিজ ব্লু হোলও বলা হয়। এটি মূলত পানির নিচে একটি গর্ত। এর ব্যাসার্ধ ০.৪ কিলোমিটার। এখানে পানির গভীরতা ১৪৫ মিটার। পানির গভীরতা আশপাশের অঞ্চলের চেয়ে বেশি হয় বৃত্তাকার এই অঞ্চলটিকে দেখায় গাঢ়-নীল, যা একে রহস্যময় ও সুন্দর করে তুলেছে। স্কুবা ডাইভারদের কাছে বেলিজের এই ব্লুু হোল অত্যন্ত জনপ্রিয় এখানের সামুদ্রিক প্রাণিবৈচিত্র্য ও স্বচ্ছ পানির জন্য। সালার ডি উয়ুনি সালার ডি উয়ুনি বলিভিয়ায় অবস্থিত এক প্রাকৃতিক আশ্চর্য। এটি মূলত একটি শুকিয়ে যাওয়া লবণাক্ত হ্রদ। লবণ ও পানির অনেকগুলো স্তর থেকে এর সৃষ্টি। ৪০৮৬ বর্গমাইলজুড়ে এর বিস্তৃতি। পুরো এলাকায় যতদূর চোখ যায়, শুধু চিকচিকে সাদা লবণ, আর উপরে নীল আকাশ। বৃষ্টি হলে সালার ডি উয়ুনি পরিণত হয় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আয়নায়। নিচে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লবণের ওপর বৃষ্টির পানি পড়ে আয়নার মতো কাজ করে। মনে হয় যেন আকাশ আর ভূমি মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেছে। চকোলেট হিলস ফিলিপিন্সে অবস্থিত অনেক পাহাড়কে একসঙ্গে বলা হয় চকোলেট হিলস। নাম শুনে ভাবার কারণ নেই যে পাহাড়গুলো চকোলেট দিয়ে তৈরি। ৫০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত ১২৬৮-এর বেশি কোণ আকৃতির পাহাড় নিয়ে চকোলেট হিলস। পাহাড়গুলোর উচ্চতা ৩০ মিটার থেকে ১২০ মিটার। এটি খুব অদ্ভুত এক সৃষ্টি। এর বিশেষত্ব হচ্ছে সব পাহাড়ের আকৃতি একই রকম। সব পাহাড় সবুজ গাছপালায় ঢাকা। তবে শুকনো মৌসুমে গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে গেলে একসঙ্গে পাহাড়গুলোকে দেখে মনে হয় চকোলেটে ঢাকা। স্টোন ফরেস্ট চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহর থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে সাইলন জেলার দিকে অবস্থান স্টোন ফরেস্টের। একে বলা হয় চীনের লুকানো রতœ। এই এলাকাজুড়ে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেখে মনে হবে যেন গাছের বদলে পাথর দিয়ে তৈরি করে হয়েছে একটি বন। লম্বা ও তীক্ষè পাথরগুলোকে দেখে পাথুরে বৃক্ষই মনে হবে যে কারও। এই পাথরগুলো মূলত হিমালয় পর্বতমালারই অংশ। ২০০৭ সালে ইউনেস্কো এই পাথুরে বনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। আইসি টাওয়ার এরেবাস এ্যান্টার্কটিকার বরফ ঢাকা অঞ্চলের একটি আগ্নেয়গিরি এরেবাস। এ্যান্টার্কটিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু আগ্নেয়গিরি এটি। শত শত বরফের টাওয়ার দিয়ে ঢাকা এই আগ্নেয়গিরি। বর্তমানে এটি এ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ১৯৭৮ সালে সর্বশেষ এখান থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। তারপর থেকে ওপরে বরফ পড়ে পড়ে এই আগ্নেয়গিরি পরিণত হয়েছে এক অপূর্ব সৃষ্টিতে। অদ্ভুত সুন্দর এরেবাস অন্যতম এক প্রাকৃতিক আশ্চর্য।
×