ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রেও ছিল ক্যাসিনো, হলুদ ইয়বাসহ সভাপতি আটক

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

   কলাবাগান ক্রীড়াচক্রেও ছিল ক্যাসিনো, হলুদ ইয়বাসহ সভাপতি আটক

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কলাবাগান ক্রীড়াচক্রেও ক্যাসিনো ছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের সিও আশিক বিল্লাহ। সেখান থেকে অস্ত্র-গুলি, তাস ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আটক করা হয়েছে ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচ জনকে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এর আগে, বিকেল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাব ঘিরে রাখে তারা। অভিযান শেষে ক্লাব থেকে নাইন এম এম পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ইয়াবা ও তাস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। অভিযান শেষে র‌্যাব সিও আশিক বিল্লাহ জানান, কলাবাগান ক্লাবে একসময় ক্যাসিনো চলতো, ক্যাসিনোর বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে এখানে। ক্লাব সভাপতি শফিকুল আলমের জিম্মা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাব সিও। তিনি জানান, অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হবে। ইয়াবা বিষয়ে বলেন, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযানের সময় সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ যাবৎকালে এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এ নতুন অবিষ্কার। ক্লাব সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে দুপুরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যায় অভিযান শেষে তাকেসহ আরো চারজনকে আটক করার কথা জানায় র‌্যাব। কলাবাগানে অভিযান শুরুর আগে শুক্রবার সকাল থেকে নিকেতনে ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। তিনি নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। ওই অফিস থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে। এর আগে গত বুধবার বিকালে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান চালায় র‌্যাব। শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো বসিয়ে জুয়ার আড্ডা চালানোর বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। আর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা একটি ক্যাসিনোতেও র‌্যাবের অভিযান চলে। দেশের বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। তবে বাংলাদেশেও যে স্লট মেশিন, রুলেট টেবিলের মত সরঞ্জাম নিয়ে পুরোদত্তর ক্যাসিনো চলে, সে খবর সাধারণ মানুষের কাছে নতুন।
×