ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাণীনগরে পাট ও পাটকাঠির যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

  রাণীনগরে পাট ও পাটকাঠির যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সোনালী আঁশ পাটের চাষ। গেল বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পাটের পাশাপাশি পাট কাঠির কদর কৃষকদের কাছে অনেক বেশি। তাই উপজেলার কৃষক-কৃষানীরা পাট কাঠির যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাট থেকে কাঠি ছড়ানোর পর রোদে শুকিয়ে তা মজুদ করায় ব্যস্ত তারা। এক সময় পাটই ছিল দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। বিগত কয়েক বছরে পাটের দাম না পাওয়ায় এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমানে পাটের বাজার ভালো হওয়ায় কৃষকদের কাছে দিন দিন পাট চাষের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পাটের আঁশের পাশাপাশি পাটকাঠির মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় পাটকাঠির যত্নে ব্যস্ত কৃষক-কৃষানীরা। বর্তমানে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের ও পাটকাঠির বাজার ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাঁসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রানীনগরে ৩৫হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে ৫হেক্টর বেশি। চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভাল হয়েছে। ভাল ফলন হওয়া ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা খুশি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভাল মানের পাটের মূল্য ১৮শ’ টাকা মন ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ১৫শ’ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে পাট চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় পাটের হারানো যৌবন ফিরে আনার লক্ষ্যে কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে সব সময় কাজ করে আসছে। কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে পাটের বীজসহ অন্যান্য উপকরন সরবরাহ করা থেকে পাটের আঁশ ছাড়া পর্যন্ত আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে এসেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের বাজার ভাল থাকায় কৃষকরা খুশি। পাটের পাশাপাশি পাট কাঠির কদরও কৃষকদের কাছে অনেক বেশি। পাটের এই বাজার বর্তমান থাকলে আগামীতে পাট চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। কারণ কৃষকরা ধান চাষে বার বার লোকসান দিয়ে আসছে।
×