ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানসিটির আট গোল, বার্নার্ডো সিলভার হ্যাটট্রিক

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 ম্যানসিটির আট গোল, বার্নার্ডো সিলভার হ্যাটট্রিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে ওয়াটফোর্ডকে গোলের মালা পরিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটিজেনরা ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। বিশাল এই জয়ে সিটির হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগীজ মিডফিল্ডার বার্নাডো সিলভা। গত বছর এফএ কাপের ফাইনালেও একই প্রতিপক্ষকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল সিটিজেনরা। ২০১৩ সালে নরউইচ সিটিকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সিটি। এতদিন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল। গত সপ্তাহে নরউইচের কাছে বাজেভাবে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর জয় পেতে মুখিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় থেকে এক গোল কম করেছে সিটিজেনরা। ১৯৯৫ সালে ইপউইচকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই রেকর্ড এখনও অব্যাহত আছে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচেই ওয়াটফোর্ডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মত্ত ছিল ইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষের জালে গুনে গুনে আট গোল দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাতেও শেষদিকে মনে হতে পারে গোল কমই হয়ে গেল! অবশ্য বেশ কিছু সুযোগ নিজেরাই হাতছাড়া করেছেন সিটির ফুটবলাররা। নাহলে ফুটবল ইতিহাসের অনেক রেকর্ডই হয়তো ওলটপালট হয়ে যেত। এই গোল উৎসবের ম্যাচে ইতিহাসে নিজেদের নাম লেখিয়েছে ক্লাবটি। গতকাল মাত্র ১৮ মিনিটে পাঁচ গোল করে ম্যানসিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে আর কোন দল এত কম সময়ের মধ্যে এত গোল করতে পারেননি। ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের দেখা পায় ম্যানসিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের ক্রসে আলতো ছোঁয়ায় বল ঠিকানায় পাঠান সিটি অধিনায়ক ডেভিড সিলভা। সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ১২ মিনিটে আবারও গোল। এবারের নায়ক রিয়াদ মাহরেজ। তিন মিনিট পর কর্নার থেকে হেডে চতুর্থ গোলটি করেন বার্নাডো সিলভা। ১৮ মিনিটে পঞ্চম গোলে ইতিহাস গড়ে ক্লাবটি। ইতিহাস গড়া পঞ্চম গোলটি করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এরচেয়ে কম সময়ে ৫-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারেনি কোন দল। পাঁচ গোলে এগিয়ে থাকা সিটি বিরতির পর আবারও জালের দেখা পায়। দলের পক্ষে ষষ্ঠ গোলটি করেন পর্তুগীজ তারকা বার্নার্ডো সিলভা। এরপর ৬০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। প্রিমিয়ার লীগে এর আগে কোন ম্যাচেই একটির বেশি গোল করতে পারেননি পর্তুগীজ ফুটবলার। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ডি ব্রুইনের লক্ষ্যভেদে ৮-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লীগে দ্বিতীয় স্থানে আছে পেপ গার্ডিওলার দল। পাঁচ জয়ে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে লিভারপুল। ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, পাঁচটি শটেই যখন লক্ষ্যভেদ হয় তখন খেলোয়াড়দের মান সম্পর্কে সকলেই বুঝতে পারেন। সাধারণত কোন ম্যাচে যদি প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে দল এগিয়ে যায় তবে দ্বিতীয়ার্ধটা কিছুটা ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু এ ম্যাচে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি ভাল খেলেছি এবং অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলাম। অনেকেই এখনও বুঝতে চাচ্ছে না ম্যাচে পরাজিত হওয়াটাও জীবনেরই একটি অংশ। আমরা যে কোন ম্যাচে হারতেই পারি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই হারের থেকে আমরা কিভাবে নিজেদের ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে পিছিয়ে থেকেও নিজেদের প্রমাণ করেছেন লিচেস্টার সিটি। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারকে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে হ্যারি কেনের গোলে স্পার্সরা এগিয়ে যায়। বিরতির পর শুরুতে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার সার্জি অরিয়ারের গোল ভিএআর-এর সহায়তায় অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে গেলে লিচেস্টারের ভাগ্য খুলে যায়। এই সুযোগে ৬৯ মিনিটে রিকার্ডো পেরেইরা সমতা ফেরানোর পর ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে জেমস ম্যাডিনসনের গোলে লিচেস্টারের জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে টটেনহ্যাম কোচ মওরিসিও পোচেত্তিনো বলেছেন, এই হারের জন্য বিতর্কিত ভিএআর প্রযুক্তি দায়ী।
×