ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাণীনগরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে ধীরগতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাণীনগরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে ধীরগতির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় জেলার মধ্যে একটিমাত্র ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু নিদের্শনা মোতাবেক ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় থেকে অতিরিক্ত ৩মাস পার হলেও এখনো সেই নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে সুবিধাভুগী অসহায় লতিফুন বেওয়া। জানা গেছে, “আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত এপ্রিল মাসের ৪তারিখে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন (অতিরিক্ত সচিব) স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে দেশের কয়েকটি জেলায় “ যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপ-খাতের আওতায় মোট ৪৬টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণের খরচ হিসেবে ১লাখ করে টাকা প্রদান করা হয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। এই প্রকল্পের আওতায় যাচাই-বাছাই শেষে নওগাঁ জেলায় ১টি মাত্র ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সেই ঘরটি জেলার রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত মকবুল ফারাজীর স্ত্রী লতিফুন বেওয়ার নামে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। পরিপত্রে প্রেরিত প্ল্যান, ডিজাইন ও প্রাক্কলন মোতাবেক গুনগতমান বজায় রেখে গত জুন মাসের ৩০তারিখের মধ্যে ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করার নিদের্শনা প্রদান করা হলেও এখনও ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়নি রাণীনগরের লতিফুন বেওয়ার পাওয়া ঘরের কাজ। এতে করে সুবিধাভুগি চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। সুবিধাভুগি লতিফুন বেওয়া বলেন, এখনো আমার পাওয়া ঘরের কাজ শেষ করা হয়নি। অতি সম্প্রতি ঘরের মেঝে ও বারান্দা পাঁকাকরণের কাজ শেষ করা হয়েছে মাত্র। পায়খানা এখনো নির্মাণ করা হয়নি। পায়খানার টিনের কাঠামো তৈরি করে অন্যস্থানে রেখেছে। কবে তৈরি করা হবে তা আমার জানা নেই। ঘরের টিনসহ অন্যান্য উপকরনগুলো ঠিক থাকলেও কাঠের বাটামে ভেজাল প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি বাড়িটি পরিদর্শন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
×