ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ চারে বাংলাদেশের যুব ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শেষ চারে বাংলাদেশের যুব ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাফ অনুর্ধ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে এ নিয়ে তিনবার খেলছে বাংলাদেশ। আগের দু’বার অংশ নিয়ে একবার ফাইনাল খেলেছে। এবং সেই ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়েছে। তৃতীয় আসরে তৃতীয় দল হিসেবে এবং এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সেমিতে নাম লিখিয়েছে তারা। সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ গ্রুপ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এই কৃতিত্ব অর্জন করে লাল-সবুজ বাহিনী। ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রতে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। আপাতত তারাই আছে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ অবস্থানে। ১ ম্যাচে ১ ড্রতে ১ পয়েন্ট নিয়ে ভারত আছে দুইয়ে। আর ১ ম্যাচের ১টিতেই হেরে তিনে থাকা শ্রীলঙ্কা একনও পয়েন্টশূন্য। তবে ভারত-শ্রীলঙ্কা উভয় দলেরই সেমিতে যাবার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ভারত। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করলেই চলবে তাদের। তাছাড়া চার গোলে জিতলে গ্রুপসেরাও হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশকে গ্রুপ রানার্সআপ বানিয়ে। পক্ষান্তরে শেষ চারে নাম লেখাতে হলে ভারতকে হারানোর কোন বিকল্প নেই লঙ্কাবাহিনীর। বাংলাদেশ তাদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে তাদের হারায় ৩-০ গোলে। ওদিকে ‘এ’ গ্রুপে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে ভুটান এবং মালদ্বীপ। ১ ম্যাচে ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভুটান আছে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে। সমান ম্যাচে ১ ড্রতে ১ পয়েন্ট নিয়ে মালদ্বীপের অবস্থান দ্বিতীয়। আর ২ ম্যাচে ১ ড্র ও ১ হারে ১ পয়েন্ট নিয়ে স্বাগতিক নেপাল আছে তিনে। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে নেপাল, যারা এই আসরের দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে তারা ফাইনালে হারিয়েছিল যথাক্রমে ভারত এবং বাংলাদেশকে। এখন মালদ্বীপ-ভুটানের মধ্যে লড়াইটা যেমন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার, তেমনি গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইও বটে। ভারতের সঙ্গে এই আসরে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। ২০১৫ আসরে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-৩ (০-০) গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ আসরে লিগ ম্যাচে তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও ভারতকে অবিশ্বাস্যভাবে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধটা কড়ায়-গণ্ডায় নিয়েছিল লাল-সবুজ বাহিনী। তৃতীয় সাক্ষাতে অবশ্য কেউই জেতেনি বা হারেনি। সোমবারের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। খেলায় দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলে এবং একাধিক গোলের সৃষ্টি করে। কিন্তু দু’দলেরই রক্ষণভাগ সুদৃঢ় ছিল, তাই কোন গোল হয়নি। অবশ্য উভয় দলেররই ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতারও ছিল লক্ষ্যণীয়। মোটকথা, দু’দলই খেলেছে সমানতালে। ফলে ম্যাচটি ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ঘরের মাটিতে প্রায় তিন সপ্তাহ অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। দলে ডাক পাওয়া বেশিরভাগ খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ২০১৫ সাল থেকে সাফের এই আসরটি হয়ে আসছে অনুর্ধ-১৯ টুর্নামেন্ট নামে। প্রথম আসরে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে রানার্সআপ হয় তারা। এ বছর থেকে টুর্নামেন্টটি হচ্ছে সাফ অনুর্ধ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ নামে। বাংলাদেশ দল ॥ শান্ত কুমার রায়, ইয়াসিন আরাফাত (অধিনায়ক), কাজী রাহাদ মিয়া, আমির হাকিম বাপ্পি, জমির উদ্দিন, ফাহিম মোরশেদ, দীপক রায়, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, নাঈম হোসেন, সম্রাট আহমেদ (মিতুল মারমা)।
×