ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। শীঘ্রই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের আমদানিকারক এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজারদর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। জাফর উদ্দীন বলেন, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রুত করতে সরকার ইতোমধ্যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তদারকি জোরদার করেছে। প্রতিবেশী ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইজ (এমইপি) নির্ধারণ করার কারণে বাংলাদেশ এখন মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। বাণিজ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজরেও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তাছাড়া ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন হাট-বাজারের পেঁয়াজ দ্রুত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোন বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই, মূল্য দ্রুত কমে আসবে। পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে বাণিজ্য সচিব জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের বর্তমান মূল্য খুবই সাময়িক। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. শাখাওয়াত হোসেন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইদ্রিস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
×