ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এই সময়ে ফজলুল পলাশ

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এই সময়ে ফজলুল পলাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফজলুল পলাশ। এই সময়ের তরুণ শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক। লেখালেখি করছেন অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক বিষয় নিয়ে। প্রতিভাবান ও প্রচারবিমুখ এই লেখকের জন্ম ১৯৮০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার হাট লক্ষ্মীপুরে। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে তার বেড়ে ওঠা। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলুল পলাশ রচিত প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ‘রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান’ (২০১১), ‘গণযোগাযোগ ও গণমাধ্যম’ (২০১৪), ‘রক্তিম পলাশের দল’ (২০১২), ‘গাঙচিল ও আমি’ (২০১৩), ‘ভূত’ (২০১৩), ‘ছায়ামানব’ (২০১৪), ‘এ্যান্টিক’ (২০১৫), ‘ফড়িং’ (২০১৬), ‘হাতঘড়ি’ (২০১৭), ‘ভূত ভয়ঙ্কর’ (২০১৮)। এছাড়াও বেশকিছু গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে একাধিক প্রবন্ধও প্রকাশ হয়েছে। পলাশ শিক্ষার্থীদের শুধু শেখান না বরং তাদের কাছে থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় শেখেন, এভাবে বলতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গান শুনতে ও গাইতে ভীষণ ভালবাসেন। কবিতা, ছোটগল্প, রম্য লেখা ছাড়াও ছবি আঁকা তার শখ। সময় পেলে জল ও তেল রং উভয় মাধ্যমেই ছবি আঁকেন। বই কেনা ও বইপড়া তার নেশা। বাবা আলহাজ হাবিবুল হক যখন গাইবান্ধা পিটিআইএ সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত। সে সময়টাই লেখকের সব থেকে আনন্দের ও অনুপ্রেরণাময় সময়। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে, লাইব্রেরিতে তার সময় কাটত বেশি। মূলত লেখালেখির সূচনাটাও হয়েছিল এভাবেই। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি করেন। স্কুলের দেয়াল পত্রিকা দিয়ে লেখালেখির যাত্রা শুরু। মাঝে মধ্যে ক্লাসের বন্ধুদের খাতা কবিতা এবং ছবি দিয়েই ভরিয়ে ফেলতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বন্ধুদের বাহবা অথবা লেখা নিয়ে হাসাহাসি সবই তার কাছে আশীর্বাদের মতোই ছিল। বিভিন্ন সময়ে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ দেশের বাংলা ও ইংরেজী দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। মা ফিরোজা আখতার ছিলেন তার লেখালেখির প্রথম অনুপ্রেরণা। অপর দিকে সহধর্মিণী তানজিলা শবনম তার সকল লেখার প্রথম পাঠক। অতিপ্রাকৃত আমার লেখনীর মূল বিষয় হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি। লেখক তার লেখায় মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সামাজিক সচেতনতা, জীবনের কঠিন বাস্তবতা, প্রেম বা ভালবাসার মতো আবেগ সবকিছুই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। লেখকের মতে, রূপকথার আলাদিনের চেরাগ এখন সবার হাতে হাতে। আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন বুনি আমার শিক্ষার্থী ও পাঠকের মাঝে। আমার স্বপ্ন প্রতিটি বাড়ি হয়ে উঠবে এক একটা লাইব্রেরি। পরিবারের সকল সদস্য হবে সে লাইব্রেরির নিয়মিত পাঠক। আমি একসময় ব্যক্তিগত লাইব্রেরি নিয়ে ভাবতাম। তখন স্বপ্নটাও ছোট ছিল, এখন আমি স্বপ্ন দেখি পুরো বাংলাদেশ নিয়ে, পুরো পৃথিবী নিয়ে। লেখক পলাশের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
×