ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্বলতা পরখ করতে গিয়ে কোহলিদের এমন হার!

প্রকাশিত: ১২:০৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দুর্বলতা পরখ করতে গিয়ে কোহলিদের এমন হার!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত ভারত। তার ওপর সিরিজটা নিজেদের মাটিতে। বৃষ্টির কারণে ধর্মশালায় প্রথম টি২০ ভেস্তে যাওয়ার পর মোহালির দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে প্রত্যাশামতো এগিয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটের হেরে গেছে স্বাগতিকরা। রঙ্গিন পোশাকে তথা ওয়ানডে ও টি২০তে রান চেজ করে জয়ের পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে ভারত। এরপরও সিরিজ নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে কেন ব্যাটিং নেয়া? ‘এখানকার উইকেট ভাল। আমি জানতাম এই মাঠে রান তাড়া করা সহজ। আইপিএলেও তাই হয়েছে। কিন্তু আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে কিছু জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন রয়েছে। তাই আগে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখা সম্ভব কি না, আমরা সেটাই পরক্ষ করতে চেয়েছি।’ বলেন অধিনায়ক কোহলি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কঙ্কালের মতো দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে। ভারতের ১৩৫ রানের চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে গেছে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে, ৩ ওভার ১ বল হাতে রেখে। কোহলি আরও বলেন, ‘মাইন্ডসেটটা সহজ রাখতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে যখন পরিস্থিতি অনুকূলে নেই, তখন ভিন্ন ভাবে চেষ্টা করার। টি২০তে ভবিষ্যতে আমরা এমন অনেক ম্যাচ পাব, যখন যা করতে চাই তা হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক সেটাকে জয় করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সে রকম মানসিকতা তৈরি করতে হবে।’ অবশ্য ঘরের মাটিতে এত বড় হার সত্ত্বেও সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমরা মোটেই যে কাউকে খেলাইনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভাল করেছে তারাই সুযোগ পেয়েছে। আমি আগেও বলেছিল। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন কন্ডিশনে টি২০ বিশ্বকাপ। আমাদের হাতে পর্যন্ত খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের সবাইকে পরখ করে নেয়ার এটাই সময়। যাতে সঠিক সময়ে সঠিক কম্বিনেশন বেছে নিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে এটা তরুণ দল। একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তাদের সময় দিতেই হবে। এই ম্যাচে আমাদের ৯ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান ছিল এবং এই বিষয়টা ভাবতে হবে। কি করণীয় সেটা ঠিক করতে হবে। আমার বিশ্বাস এখান থেকেই দুর্দান্ত একটা দল বেরিয়ে আসবে।’ ভারত অধিনায়ক অবশ্য প্রতিপক্ষ প্রোটিয়াদেরও প্রশংসা করেছেন, ‘আমি মনে করি, দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভাল বোলিং করেছে। অনুমিতভাবে চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ তাদের সহায়তা করেছে। আর আমরা খেলার গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছি।’ বেঙ্গালুরুর ইতিহাস বলে এখানে সবসময় শুরুতে ব্যাটিং করা কঠিন। নিজেরাই নিজেদের দুর্বলতার পরখ করতে গিয়েও ভারতের শুরুটা কিন্তু মন্দ ছিল না। ৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। ২৫ বলে ৩৬ রান করে শিখর ধাওয়ান আউট হওয়ার পরই শুরু হয় সফরকারী পেসারদের দাপট। যার পাল্টা দিতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। বড় দুই তারকা রোহিত শর্মা ও কোহলি আউট হন সমান ৯ রান করে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজার। ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৪ রানে থামে ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে কাগিসো রাবাদা ৩, বিজর্ণ ফরচুন ও বিউরেন হেনড্রিস নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ডি ককের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দাপুটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। ৫২ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দ. আফ্রিকা অধিনায়ক।
×