ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার চীনের পতাকা মাড়াল হংকং বিক্ষোভকারীরা

প্রকাশিত: ১২:১৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এবার চীনের পতাকা মাড়াল হংকং বিক্ষোভকারীরা

এবার চীনের পতাকাকে অসম্মান করল হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের সময় চীনের পতাকা পায়ে মাড়ায় বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া ভাংচুর করা হয় একটি বিপণি বিতান ও একটি সাবওয়ে স্টেশনেও। শাতিন জেলার নিউ টাউন প্লাজায় মুখোশ পরিহিত বিক্ষোভকারীরা চলন্ত সিঁড়িতে আবর্জনার বাক্স ও পানি ছুড়ে মারে এবং কাঁচের দরজা ভাংচুর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা চীনের একটি পতাকা পায়ে মাড়িয়ে সেটি নদীতে ছুড়ে ফেলছে। এছাড়া বিশাল প্রশস্ত একটি রাস্তায় আগুন জ্বালায় বিক্ষোভকারীরা। রবিবার বিক্ষোভের সময় এসব তা-ব চালায় তারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মারে। শপিংমলের একটি জায়গায় স্থাপন করা বেষ্টনীতে আগুনও দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ শপিং মল বন্ধ করে দেয়। বিপণি বিতানে হামলার পর বিক্ষোভকারীদের একটি দল শাতিন সাবওয়ে স্টেশনে হামলা চালায়। এ সময় তারা মাথার উপরের নজরদারি ক্যামেরা ভাঙতে শুরু করে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে টিকেট পরীক্ষার সেন্সর ভেঙ্গে ফেলে, টিকেট মেশিনের পর্দা ভেঙ্গে ফেলে এবং রং স্প্রে করে। তাদের চেহারা যাতে কেউ চিনতে না পারে এজন্য তারা ছাতা দিয়ে নিজেদের মুখম-ল আড়াল করে। হামলার পর দাঙ্গা পুলিশ এসে সেখানে উপস্থিত হয় এবং স্টেশন বন্ধ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা বিপণি বিতানের কাছের সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং পামগাছের পাতা জড়ো করে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাদের দিকে কাঁদানগ্যাস নিক্ষেপ করে। কাঁদানেগ্যাস থেকে বাঁচতে বিক্ষোভকারীরা ছাতা দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করে। নিউ টাউন প্লাজায় প্রথমে স্বল্প পরিসরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা সহিংস রূপ নেয়। এদিন বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরেও বিক্ষোভের ডাক দেয় এবং পুলিশও তা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত বিতর্কিত একটি প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে হংকংয়ে বিক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠে। ওই বিলে বিচারের জন্য হংকংবাসীদের চীনের মূলভূখ-ে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হংকংয়ের সমালোচকরা। প্রস্তাবিত ওই বিলের প্রতিবাদেই জুনে হংকংজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদের মুখে বিলটি স্থগিত করা হলেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। পরে চলতি মাসের প্রথমদিকে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এতেও প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভ কমেনি। পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি তারা পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও অন্যান্য অভিযোগেরও তদন্ত দাবি করছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী এ প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকং। এদিকে আগামী পহেলা অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় আরোহণের ৭০তম বার্ষিকী পালন করা হবে। ফলে তার আগে বিক্ষোভ অবসানের কোন লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জননিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওইদিন হংকংয়ে আতশবাজি প্রদর্শন বাতিল করেছে সরকার। -ওয়েবসাইট
×