ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফল থানার সামনে জুয়ার আসর

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাউফল থানার সামনে জুয়ার আসর

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৩ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফল থানার অদূরে ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত স্পটে রমরমা জুয়ার আসর বসে। এতে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়। শহরে একটি বহুতল ভবনে জুয়ার পাশাপাশি মদপান ও নারী নিয়ে ফূর্তিরও অভিযোগ রয়েছে। প্রভাবশালী নেতারা এর সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জানা গেছে, বাউফল থানা থেকে মাত্র ১শ’ মিটার দূরে একটি বহুতল ভবনের তিনতলায় নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। ওই আসরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে নেতারা অংশ নেয়। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ জুয়ার আসর। এখানে প্রতি রাতে বিপুল পরিমাণ টাকার জুয়া খেলা হয়। জুয়া খেলার পাশাপাশি এখানে মদের আসর বসে। প্রায় রাতেই ওই আসরে নারীদের নিয়ে ফূর্তি করা হয়। বিএনপির সাবেক এক নেতার মাধ্যমে নারী সরবরাহ করা হয়। ওই ভবনটির পাশের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তার বাসার বাউন্ডারির পাশে প্রায়ই খালি মদ ও বিয়ারের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। সম্প্রতি ঢাকায় কয়েকটি ক্যাসিনোতে প্রশাসনের অভিযানের পর ৪-৫ দিন ধরে ওই বহুতল ভবনের জুয়ার আসরটি বন্ধ রয়েছে। এ আসরের সদস্যরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে। অধিকাংশ সদস্যদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। বাউফলে এটি একটি মিনি ক্যাসিনো হিসাবে পরিচিত। সান্তাহার নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এসেই ফের ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল এবং এ্যাম্পুলের রমরমা কারবার চালানোর অভিযোগ মিলেছে। এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে দেশী বাংলা মদের ভাটির অনুকূলে ৮ শতাধিক লাইসেন্স দেয়া রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুইপার ও হিন্দু ধর্মের ৬ শতাধিক। অবশিষ্টগুলো মুসলমান ধর্মের। অভিযোগ রয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিফতরের কর্তাব্যক্তিরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে; মদ ভাটির ব্যবস্থাপকদের ধরিয়ে দেয়া কাগজ যাচাই না করেই লাইসেন্স দিয়েছেন। এক অর্থ বছরের জন্য দেয়া হলেও সেটি চলে বছরের পর বছর ধরে। রয়েছে ভুয়া লাইসেন্সের ছড়াছড়ি।
×