ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্রাজ্যের পতন ॥ অবশেষে সম্র্রাট গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৭ অক্টোবর ২০১৯

সাম্রাজ্যের পতন ॥ অবশেষে সম্র্রাট  গ্রেফতার

গাফফার খান চৌধুরী ॥ অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটল। গ্রেফতার হলেন বহুল আলোচিত জুয়ার বড় আসর হিসেবে পরিচিত ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বহু অপরাধের সাক্ষী ক্যাসিনো জুয়ার অন্যতম কর্ণধার ঢাকা মহানগর যুবলীগের দক্ষিণের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের অফিসে টানা পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে অফিস থেকে প্রায় বারো শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, পাঁচ রাউন্ড তাজা বুলেট, একটি ম্যাগজিনসহ একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পরপরই সম্রাটকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। সাজা দেয়ার পর কাকরাইল থেকে কড়া নিরাপত্তায় সোজা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর মাদক ও অস্ত্রগোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হচ্ছে। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী সহ-সভাপতি আরমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। গ্রেফতারের সময় মাদকাসক্ত থাকা আরমান মাতলামি করায় ফেনী জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন। গ্রেফতারকৃত দুজনই জুয়ার বড় আসর হিসেবে পরিচিত ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতারের পর বেশ গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বহুল আলোচিত এই নেতাকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে সম্রাটের ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের পতন ঘটল। গ্রেফতারকৃতরা সীমান্ত পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বেরসিক র‌্যাব তাদের গ্রেফতার করে ফেলে। সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর মহাখালী ডিওএইচএসের বাড়িতে ও সম্রাটের শান্তিনগরের শেলটেক টাওয়ারের বাড়িতে এবং সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানের মিরপুরের ও কলাবাগানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। আরমানের মিরপুরের বাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের বারোটি চেক বই উদ্ধার হয়েছে। দেশে ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের আদ্যোপান্ত জানতে সম্রাটকে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও অনলাইন ক্যাসিনোর গডফাদার সেলিম প্রধানকে টিএফআই সেলে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অবৈধ কর্মকা-ের সঙ্গে যারাই জড়িত হোক না কেন, কারও নিস্তার নেই। কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও র‌্যাব মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। শুধু ক্যাসিনো নয়, যারা অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকবে তাদেরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অভিযান শেষে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভারত সীমান্ত লাগোয়া আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা যে বাড়িটিতে লুকিয়ে ছিল সেটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর। বাড়ির মালিক সম্রাটের আত্মীয় বলেও এলাকায় গুঞ্জন আছে। জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের মুখে মুখে ফিরছে ক্যাসিনো সম্রাটের নানা কাহিনী। রাতেই র‌্যাব তাদের নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়। তাদের প্রথমে নেয়া হয় র‌্যাব সদর দফতরে। সেখানে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের অফিসে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে সম্রাটকে র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্সের একটি কালো মাইক্রোবাসে করে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে কাকরাইলে আনা হয়। তার আগেই সেখানে অবস্থান নেয় র‌্যাব। র‌্যাব পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। কাকরাইলে রাজমনি সিনেমা হলের সামনের রাস্তাটির কাকরাইলের দিকে ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দিকের অংশ পুলিশ ও র‌্যাবের গাড়ি দিয়ে বেরিকেড দেয়া হয়। সেখানে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে সম্রাট গ্রেফতার এবং তাকে নিয়ে কাকরাইলে তার অফিসে অভিযানের খবরে সেখানে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ। মুহুর্তেই পুরো এলাকা মানুষে ভরে যায়। আশপাশের ভবনের ছাদ থেকেও অনেকেই ভবনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। দুপুর পৌনৈ দুইটার দিকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের তালা ভেঙ্গে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢূকে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অভিযান শেষ হয়। অভিযানে সম্রাটের অফিস থেকে পাঁচ রাউন্ড তাজা বুলেট, একটি ম্যাগাজিন ও সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বোরের একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল, বিপুল মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া ও ১১শ’ ৬০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ হয়। বন অধিদফতরের পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস-সাদিক জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন মোতাবেক অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণ আইন-বহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য। এই আইনের শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় মাস ও এক লাখ টাকা জরিমানা। আটক সম্রাটের বিরুদ্ধে কার্যালয় থেকে দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় বন অধিদফতরের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদ- প্রদান করেন। মাদক ও অস্ত্রগোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে বলেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, সম্রাট ও তার সহযোগীকে যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি ফেনী জেলার মধ্যে। গ্রেফতারের সময় সম্রাটের সহযোগী আরমান মাদকাসক্ত ছিল। সে মাতলামি করার জন্য ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আরমানকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, অভিযান শেষে সম্রাটকে ছয় মাসের সাজা দেয়া হয়। সাজা প্রদান শেষে তাকে কড়া নিরাপত্তায় কাকরাইল থেকে সোজা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কেরানীগঞ্জ জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিকে রবিবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর সড়কে একটি বাড়িতে এবং শান্তিনগরের শেলটেক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় সম্রাটের দুইটি বাসায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। ডিওএইচএসের বাড়িতে কিছুই পাওয়া যায়নি। অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীসহ তার মেয়ে বাসায় ছিলেন। শারমিন চৌধুরী বলেন, তাদের ১৯ বছরের সংসার। তার স্বামী কখনও অবৈধ টাকা দিয়ে সংসার চালাতে চাননি। কখনও অবৈধ টাকা সংসারে দেননি। দুই বছর তারা আলাদা ছিল। তার স্বামীর ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনি জি কে শামীমকে চেনেন না। তবে আরেক যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো সম্রাট গ্রেফতারকৃত খালেদ মাহমুদ ভুইয়াকে চেনেন। কাকরাইলের স্বামীর অফিসে যাতায়াত ছিল খালেদ মাহমুদের। র‌্যাব কর্মকর্তা এএসপি মিজানুর রহমান রাত পৌনে আটটায় জনকণ্ঠকে বলেন, সম্রাটের সহযোগী আরমানের মিরপুরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে একাধিক ব্যাংকের ১২টি চেক বই পাওয়া গেছে। যার মধ্যে অধিকাংশই আরমানের স্ত্রীর নামে। শান্তিনগরে সম্রাটের বাড়ি থেকে তেমন কিছু উদ্ধারের তথ্য মেলেনি। তবে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। র‌্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর দিন আগামী মঙ্গলবার। এদিন প্রথা অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমান্ত লাগায়ো অনেক হিন্দু-মুসলিম পরিবার ভারতে যাতায়াত করে থাকেন। সেই ডামাডোলের মধ্যে সম্রাট ও তার সহযোগী সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে ভারতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু বিষয়টি আগাম অনুমান করার পরপরই তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়। বাড়িটির দূরত্ব ছিল সীমান্ত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার। ভারতের বিলুনিয়া জেলার রাজনগর থানার হাতিয়ারা-একিনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে তারা সীমান্তবর্তী ওই জামায়াত নেতার বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। র‌্যাব বলছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। অভিযানে মতিঝিলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৪০ জন নারী-পুরুষ গ্রেফতার হয়। ক্লাবটিতে ক্যাসিনো চালানোর দায়ে ওইদিনই গুলশানের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেক ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেফতার হয় কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ। দুইদিন পর নিকেতন থেকে গ্রেফতার করা হয় ঠিকাদার কিং জি কে শামীমকে। তাদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ক্যাসিনোর নেপথ্যের মূল কারিগর সম্রাটের নাম। এরপর তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের ছবিসহ বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়। পাশাপাশি সম্রাট ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। সূত্র বলছে, খালেদ মাহমুদ গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলের রাজমনি সিনেমা হলের পশ্চিম পাশের বহুতল ভবনটিতেই অবস্থান করতে থাকেন সম্রাট। এমনকি তিনি তার লোকজন দিয়ে অভিযানের ভয়ে যেসব ক্লাবে তালা দিয়ে লোকজন পালিয়ে গিয়েছিল, সেইসব ক্লাবে পাহারার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, অভিযানের পরেও চারদিন সম্রাটের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে ক্যাসিনো জুয়া চালানো হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হবে না বলে বিভিন্ন জনের কাছে বলে বেড়াতেন। র‌্যাব সূত্র বলছে, একের পর এক র‌্যাব অভিযান চালানো শুরু করলে সম্রাট আত্মগোপনে চলে যান। প্রথমে সে আকাশ পথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য তিনি তার লোকজন দিয়ে বিমানবন্দরে খবর নেন। বিমানবন্দরে তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, এজন্য কড়া নির্দেশনা থাকায় তিনি আর সে পথে মাড়াননি। সোজা স্থলপথে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। আত্মগোপন করেন কুমিল্লায়। আত্মগোপন করার পর তার সঙ্গে কারও কোন যোগাযোগ ছিল না। সবার সঙ্গেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সম্রাটের সহযোগী আরমান ঢাকাই সিনেমাতেও টাকা খাটাচ্ছিলেন। দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া নামের একটি প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারে তিনি একটি সিনেমা তৈরি করেন। গত ঈদ-উল-আজহায় সিনেমাটি মুক্তি পায়। মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ নামের ওই সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও বুবলী। রবিবার দুপুরের পর সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানের মিরপুর-২ এর মসজিদ মার্কেটের ১৬ নম্বর বাড়িতে র‌্যাব অভিযান চালায়। অভিযানে বিভিন্ন ব্যাংকের বারোটি চেক বই পাওয়া যায়। যার মধ্যে দশটিই তার স্ত্রীর নামে। এছাড়া রাজধানীর কলাবাগানেও আরমানের আরেকটি বাসায় র‌্যাব অভিযান চালিয়েছে। সেখানেও তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি বলে র‌্যাব জানায়। ছাগলনাইয়ায় নেয়া হয়েছে আরমানকে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী থেকে জানান, সম্রাটের সঙ্গে গ্রেফতার ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ সহসভাপতি ্ এনামুল হক আরমানকে রবিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব- ১০ ও র‌্যাব-৭ এর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টারে ফেনী স্টেডিয়ামে নামানো হয়। পরে র‌্যাব-১০-এর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আরমানকে ছাগলনাইয়ায় তার গ্রামের বাড়ি পাঠাননগরের কাচারি বাজারে নেয়া হয়। সেখান থেকে আরমানকে ফেনী র‌্যাব-৭ সিপিসি-১ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তবে র‌্যাব -৭ এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
×