ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুর শেরপুরে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ১১:১৮, ১০ অক্টোবর ২০১৯

মাদারীপুর শেরপুরে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মাদারীপুর সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের উভয় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবারের ঘটনায় আহত ধর্ষিতাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো। জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের দুর্গাবদী গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১২) মঙ্গলবার রাতে পূজা দেখানোর কথা বলে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে মেয়ের মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষক হৃদয় হাওলাদারকে (২৩) বুধবার বিকেলে কোর্টে চালান করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চ-ীবর্দী গ্রামের মনোয়ার হাওলাদারের ছেলে হৃদয় পার্শ্ববর্তী গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে পূজা দেখানোর কথা বলে মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষকসহ ছাত্রীকে একত্রে ধরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে ধর্ষককে থানায় নিয়ে যায় এবং ছাত্রীটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ ইব্রাহীম বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়েছে। চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে। শেরপুর ॥ জেলার শ্রীবরদীতে হতদরিদ্র পরিবারের সপ্তম শ্রেণীপড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে ফরিদ মিয়া (৩০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নের খরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সুলতান মাহমুদ তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নের উত্তর খরিয়া গ্রামের ওই ছাত্রীর পিতা ঢাকায় রিক্সা চালায় এবং ওই কিশোরী তার বৃদ্ধা দাদির সঙ্গে বাড়িতে বসবাস ও স্থানীয় খরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী মজিবর রহমানের বখাটে ছেলে এক সন্তানের জনক ফরিদ মিয়া প্রায়ই উত্যক্ত করত। সোমবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হলে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে ফরিদ মিয়া তার মুখে গামছা বেঁধে বাড়ির পাশে এলাচি কাঠ গাছের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ওইসময় ওই কিশোরীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে ফরিদ মিয়া পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আপোসে রফার নামে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে স্থানীয় একটি মহল। এদিকে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বুধবার ভোরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে ফরিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে ধর্ষিতকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যশোরে শিশু ধর্ষণ, আটক ১ ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ চান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি আদর্শ পাড়ার নওশের আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, চানের ভাই বিপ্লবের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশুর পিতা একই এলাকায় বাসিন্দা ইলেকট্রিকের কাজ করে বেড়ায়। মঙ্গলবার তারা প্রতিদিনের মতো কাজে বের হয়। কিন্তু কাজ না করে তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরে আসে। এরপর বিপ্লব ওই শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি যাওয়ার পর শিশুটিকে ঘরে রেখে দোকানে যায় মোবাইলে ফ্ল্যাক্সিলোড দিতে। এই সময়ে বিপ্লবের বড় ভাই চান হোসেন শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পিতা বুধবার থানায় অভিযোগ করেন।
×