মুসলিম কালেকশন
মুসলিম কালেকশন নিয়ে এসেছে এক্সক্লুসিভ শার্ট। পাওয়া যাবে পাঞ্জাবি, ফুলহাতা শার্ট, টি-শার্ট, ফুলহাতা ক্যাজুয়াল শার্ট, ফুলহাতা ফরমাল শার্ট ও হাফহাতা শার্ট। এ ছাড়াও মুসলিম কালেকশনে ক্রেতারা পাচ্ছেন বিভিন্ন ডিজাইনের বয়েজ শার্ট,। বিক্রয়কেন্দ্র : মুসলিম কালেকশন এক্সক্লুসিভ, ৩০/৩১ জিলা পরিষদ মার্কেট (২য় তলা), কেরানীগঞ্জ, ঢাকা । মোবাইল : ০১৭৯২-৪৫২২২২।
ফ্যাশন সেমিনার
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও দ্য বিগ এ কমিউনিকেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘পোশাক শিল্পে আগ্রাসন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় পোশাক শিল্পের ডিজাইনার এবং ফ্যাশন হাউস মালিকগণ। এছাড়াও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শেখ সাইফুর রহমান, ডেপুটি এডিটর, প্রথম আলো ডিজিটাল ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এ্যানালিস্ট। বৈঠকে বক্তরা দেশীয় ফ্যাশন শিল্পের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন এবং সে সঙ্গে উঠে আসে ক্রমাগত বিদেশী পোশাক কিভাবে দেশীয় ফ্যাশন জগতকে ঘিরে রেখেছে সে চিত্র। দেশীয় পোশাক শিল্পের অগ্রগতির অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত হয় নিত্যনতুন ডিজাইনের স্বল্পতা, সুতার অপ্রতুলতা, ফ্যাশন হাউসের বছরান্তে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বৃদ্ধি, দেশীয় কাপড়ের অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি। এছাড়াও দেশ প্রেম থেকে কাজ করে যাওয়ার তাগিদ দেন সবাই। এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কানিজ আলমাস খান বলেন, কয়েক বছর আগেও ভারতে বেড়াতে গেলে সেদেশের লোকজন বলত আপা এর পরের বার আসলে আপনাদের দেশের এরোমেটিক সাবান, কিউট লোশন কিংবা জামদানি শাড়ি নিয়ে আসবেন। সেসব দিন পার করে ভারত আজ সেসব পন্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ। অথচ সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও সে সময় অন্য কোন পণ্য তারা তাদের দেশে ঢুকতে দেয়নি। সে ফল আজ তারা পাচ্ছে। তার এ কথার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রধান অতিথি বিবি রাসেল বলেন, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পণ্য মানুষ আজকে থেকে চেনে না। মাঝের কিছু সময় আমরা সৌখিন ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে গুণগত মান কমিয়ে ফেলেছি। তবে এখন আবার সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার। দেশীয় সুতায় তৈরি জামদানি এখনও সৌরভ ছড়াচ্ছে। এখনও এদেশের তাঁতিদের হাতে জাদু রয়েছে। এদের যথাযত ব্যবহার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। দেশীয় সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আরেক ধাপ বাড়িয়ে বিশেষ অতিথি চঞ্চল মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক দফা মোটা ফ্যাশনে ভেরিয়েশন এসেছে। এবং সেসব ছিল দেশীয় উদ্যোগে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটা পরিবর্তন। কিন্তু এখন অন্যান্য দেশের ফ্যাশন ট্রেন্ড দেখে এদেশের ফ্যাশন ট্রেন্ড পরিবর্তিত হয়। এটা দুঃখজনক। ডিজাইনারদের এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া দেশীয় পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাংকিং সুবিধা দিতে চেষ্টা করবে অগ্রণী ব্যাংক এ আশ্বাস দেন অগ্রণী ব্যাংকের হেড অব পিআরডি রুহিয়া আক্তার।
বনসাই প্রদর্শনী
৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গুলশানের ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বনসাই একটি শিল্প। এই শিল্পকে আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য বনসাই শিল্পী মোঃ সুলাইমানকে আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনসাই চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বনসাই লালন পালনের মাধ্যমে আমাদের বাসা বাড়ি সুন্দর দেখাবে। এবং একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠন করা যাবে। নগরের ইটের স্থাপনার মধ্যে এক টুকরো সবুজের উপস্থিতির জন্য বনসাই সংগ্রহের আহ্বান জানান গোলাম দন্তগীর গাজী। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বনসাই জগতের প্রতিষ্ঠাতা বনসাই শিল্পী মোঃ সুলাইমান বলেন, আমার অবসরে সঙ্গী বনসাই। বনসাইকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করে তুলি। একটি পরিপূণ বনসাই দেখলে আমার মন ভরে যায়। তিন দিনের এই আয়োজনের ৩০০টি বনসাই প্রদর্শন করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: