ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হলেন ইমরান খান

প্রকাশিত: ০২:১০, ১১ অক্টোবর ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হলেন ইমরান খান

অনলাইন ডেস্ক ॥ শি চিনফিংয়ের ভারতে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা আগেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হলেন ইমরান খান। উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন যেমন তুলেছেন, তেমনই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দুষেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হংকংয়ের প্রতিবাদ শিরোনামে এলেও কাশ্মীরের মানবাধিকারের প্রশ্ন উপেক্ষিত। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, মোদির সঙ্গে বেসরকারি বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠলে চিনফিং যেন নরম অবস্থান না নেন, কার্যত সেটাই আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরের সঙ্গে হংকংয়ের আন্দোলনকে কার্যত এক পংক্তিতে বসানোও পাকিস্তানের কাছে কার্যত নজিরবিহীন বলেও মত কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই চেন্নাই বিমানবন্দরে নামবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। দু’দিনের বেসরকারি সফরে মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে চিনফিংয়ের। ভারতীয় কূটনৈতিক শিবিরের খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গ এড়িয়ে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়েই কথা বলতে চান মোদী। কিন্তু এই পটভূমিতেই কাশ্মীর ইস্যু ফের খুঁচিয়ে তুললেন ইমরান। টুইটারে ইমরান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কেন কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে হংকং-এর প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে সব সংবাদ মাধ্যমেই বড় করে দেখানো হচ্ছে।’ গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিয়েছে ভারত। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে নিজেদের পক্ষে টানতে এবং ভারতের বিপক্ষে সরব হওয়ার জন্য দরবার করে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কার্যত চিন ছাড়া কাউকে পাশে পাননি। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জেও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। আজ শুক্রবার ফের জাতিসংঘের সেই প্রসঙ্গ টেনে ইমরানের টুইট, বিতর্কিত ভূখণ্ডে ভারত বেআইনি ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিপুল সেনা মোতায়েন করে ৮০ লক্ষ কাশ্মীরিকে কার্যত বন্দি করেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকে কাশ্মীরে মোবাইল, ইন্টারনেট, ল্যান্ডলাইন, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়কে ‘মানবিকতার সঙ্কট’ আখ্যা দিয়ে ইমরানের বক্তব্য, ‘কাশ্মীরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে প্রায় দু’মাস। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী সহ হাজার হাজার লোককে বন্দি করা হয়েছে।’ বেজিংকে বরাবর তুষ্ট রাখতেই অভ্যস্ত পাকিস্তান। হংকং-এ সরকার বরোধী আন্দোলন নিয়ে অস্বস্তিতে বেজিং। কিন্তু সেই প্রতিবাদ বিক্ষোভকেই ইমরান বলেছেন ‘গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন’। কাশ্মীরের সঙ্গে এক পংক্তিতে বসিয়ে কার্যত বলতে চেয়েছেন, সেখানেও দমন-পীড়ন চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে হংকংয়ের প্রতিবাদকে এই রকম ব্যাখ্যা স্বভাববিরুদ্ধ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। হংকংয়ে প্রায় চার মাস ধরে চলছে সরকার বিরোধী আন্দোলন। অন্য দিকে দু’দিন আগেই চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন ইমরান খান। সেই বৈঠকে চিন তাঁকে স্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছিল, কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের দাবিকেই সমর্থন করবে বেজিং। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×