ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্ত চলছে ক্যাসিনোয় জড়িতদের ব্যাংক হিসাবের

প্রকাশিত: ০২:১০, ১২ অক্টোবর ২০১৯

তদন্ত চলছে ক্যাসিনোয় জড়িতদের ব্যাংক হিসাবের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত মূলহোতা ও তাদের স্বজনদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বিএফআইইউ। তবে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান কর্মকর্তা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করে লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করতে পারে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কাজে যেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়, সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন। নামে যেমন সম্রাট, তেমনি অবৈধ হলেও ক্যাসিনো জগতেও ছিলেন ক্যাসিনো সিন্ডিকেটের মহারাজা। বিভিন্ন মহলে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিযানের ১৭ দিন পর সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এর আগে সম্রাটের সেকেন্ড কমান্ড যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। বন্দি রয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ ব্যক্তি বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম। গ্রেফতারের পরই অভিযুক্তসহ তাদের স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বিএফআইইউ। নতুন করে ব্যাংক হিসাব তলবের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যুবলীগ চেয়ারম্যানেরও। এ তালিকায় অর্ধশত সংখ্যক ব্যক্তির নাম শোনা গেছে। এখন পর্যন্ত আটকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ৩৫ জনের নাম স্বীকার করলেও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে গ্রেফতার ৭ জনসহ কয়েকজনের স্বজনের ব্যাংক হিসাব। আর্থিক লেনদেনের তদন্ত প্রতিবেদন কবে দেয়া হবে সে বিষয়ে বিএফআইইউ প্রধান জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেন, আমরা ইন্টলিজেন্স নিয়ে কাজ করছি। এগুলো খুব গোপনীয় ব্যাপার। এগুলো নিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়। এগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যায়। তারা পরবর্তীতে এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়। একই কথা বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তার মতে, অভিযান পরিচালনা ও তদন্ত কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য প্রকাশ করা ঠিক হবে না। তবে তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবমুক্ত রাখার পরামর্শ তার। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে অনেকের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে কিন্তু ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এই রিপোর্টগুলো বের হয়ে গেলে এই প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না কর কিছু তথ্য প্রকাশ করা যেতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর। তিনি বলেন, সংসদ চাইলে কিছু সামারি তারা দিতে পারে। নাম প্রকাশ না করে কোনো একটি ঘটনার পেছনে আমরা এই জিনিসগুলো পেয়েছি, এমনটা প্রকাশ করতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় পরিচালিত হতো ৬০টি ক্যাসিনো। এর সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
×