ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘রাজধানীতে বছরজুড়ে রাস্তা খোড়াখুড়ির নীতিমালা থমকে আছে ১৬ বছর ধরে’

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১২ অক্টোবর ২০১৯

‘রাজধানীতে বছরজুড়ে রাস্তা খোড়াখুড়ির নীতিমালা থমকে আছে  ১৬ বছর ধরে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থমকে আছে রাজধানীতে যখন তখন সড়কে খোড়াখুড়ির নীতিমালা তৈরীর কাজ। বছরজুড়ে দিনরাত যে কোন সময় সড়ক খননের কাজ যুগপোযোগী নীতিমালা তৈরী করে বন্ধ করা হবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বারবার এমন ঘোষণা দিলেও গত ১৬ বছরেও এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। ফলে ৩ কোটি নাগরিক নিয়ে গড়ে উঠা ঢাকার বুক চিরে বর্ষাকালেও ইচ্ছেমতো সরকারের সেবাদানকারী বিভিন্ন সংস্থা একই রাস্তা বারবার খনন করতে দেখা যাচ্ছে। রাজপথ থেকে অলিগলি সখল সড়কেই ইচ্ছেমতো সড়ক খোড়াখুড়ির কারণে প্রতিনিয়ত চলাচলের পথে সৃষ্টি হচ্ছে ভযাবহ জনদূর্ভোগ। অবিবক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সময় ২০০৩ সালে বিএনপি জোট সরকার সড়ক খনন নীতিমালা তৈরীর পর গত ১৬ বছরে ঢাকাকে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে আগের আয়তনের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এত বছরেও যুগপোযোগী নতুন কোন নীতিমালাই তৈরী হয়নি। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৮ নামে সরকার খসড়া নীতিমালা তৈরীর কাজটি বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি থাকায় কবে নাগাদ প্রনয়ণ করা সম্ভব হবে কেউ জানে না। এদিকে কোন প্রকার নীতিমালা না থাকায় একটি রাস্তা মাসের পর মাস ফেলে রেখেই একই ঠিকাদার অন্য রাস্তা খনন করতে দেখা যাচ্ছে। কোন প্রকার নীতিমালা না থকায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে রাজধানীতে সড়ক খোড়াখুড়ির কাজ। ইচ্ছেমতো খনন কাজ করে ফেলে রাখছেন ঠিকাদার ও রাজধানীন বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থাগুলো অথবা কোনমতে ইটবালু দিয়েই দায়সাড়া কাজ করছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও কোন প্রকার জবাবদিহীতা লক্ষ করা যায় না। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসা নীতিমালার বিষয়ে কিছু আপত্তি তুলেছে। যা নিস্পত্তি করবে মন্ত্রনালয়। বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় পরপরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সময়োপযোগী একটি নীতিমালা তৈরীর কাজ শুরু করলেও অনেকটা অজ্ঞাত কারণেই তা আটকে আছে। মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কতৃক দিন বা রাতে কিংবা বছরের কোন সময়ে রাস্তা খখন করা যাবে না, খনন করা গেলেও কোন পদ্ধতিতে রাস্তা কখন খনন করা যাবে এর বিস্তারিত তথ্য সংযোজন করে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরীর কাজও করে। কিন্তু উদ্যোগ গ্রহণের প্রায় ১০ মান পেরয়ে গেলেও এখনো এটি আলোর মুখ দেখেনি। সুত্র জানায়, খসড়া নীতিমালাটি তৈরীর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নীতিমালা বাস্তবায়নে মতামত জানাতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশন তাদের চ’ড়ান্ত মতামত দেয়নি।কিছু ক্ষেত্রে তাদেও আপত্তি রয়েছে বলৈ জানা গেছে। ফলে অনেকটা ঝুলেই আছে খসড়া নীতিমালা তৈরীর কাজ। এর ফলে যত্রতত্র ও নিজের চাহিদামতো নাগরিকদেও কাছে কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির সকল সড়ক কেটেই যাচ্ছে। আর এসব সড়ক একবার কাটার পর তা নতুন করে মেরামতে সিটি কর্পোরেশন বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা যেনো কারো কোন দায়বদ্ধতাই নেই। নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণেল পর বর্তমান সরকার ঢাকা মহানগরীতে বছরের যে কোন সময় বা দিনের বেলায় রাস্তা খোড়াখুড়ি বন্ধে নীতিমালা তৈরীর উদ্যোগ নেয়। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় নীতিমালার একটি খসড়াও তৈরী করে। খসড়া নীতিমালা বলা হয়, বর্ষাকালে বিশেষ করে মে জুন জুলাই আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের ৫ মাস মাসে রাস্তা খনন করা যাবে না। দিনের বেলায় কোন রাস্তা খোড়া বা কাটার কাজ করা যাবে না। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া খনন করা হলে মূল খরচের পাঁচগুণ হারে জরিমানা ফি আদায় করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি স্বাপেক্ষে শুধুমাত্র রাতের বেলায় যখন রাস্তায় যানবাহন কম থাকে তখন সকল প্রকার রাস্তা খোড়াখুড়ি করতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সকল প্রকার অভিজ্ঞ ঠিকাদার দিয়ে খনন কাজ করতে হবে। অনুমতি প্রদান, খনন ও রাস্তা পূর্নবাসনের কাজ সর্বোচ্চ তদারকি করতে ওয়ান স্টপ সমন্বয় সেল গঠন করা হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে তৈরীকৃত এ খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলা হলেও এখনো খসড়া নীতিমালাটিও চ’ড়ান্ত করতে পারেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। মন্ত্রনালয় সুত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় রাজধানীতে বসবাসকারী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্ষকালে নির্দিষ্ট সময় রাস্তা খোড়াখুড়ি বন্ধ করতে বা শীতকালেও যখন তখন রাস্তা খুড়ে সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে চায়। এজন্য ২০০৩ সালে অবিবক্ত ঢাকা থাকাকালে তৈরী করা সড়ক খনন নীতিমালাটি বাতিল করে নতুন এই নীতিমালা তৈরী করছে। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৮ নামের এই নীতিমালাটির প্রনয়ন কাজ করছে। সুত্র জানায়,স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নগর উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেনকে প্রধান করে গঠিত কমিটি নতুন খসড়া নীমিালাটি প্রনয়নে কাজ করছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে খনন কাজ শুরুর তারিখ ও শেষের তারিখও সাইনবোর্ড দিয়ে সাইটে জানাতে হবে। খনন কাজে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেলকে সহায়তার জন্য একাধিক মনিটরিং সেল কাজ করবে। সিটি কর্পোরেশন সেলে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। মাসের পর মাস রাস্তা খননের নামে কাজ ফেলে রাখা যাবে না। রাতের বেলায় খনন কাজ করার পর ঐ দিন বা রাতের মধ্যেই আধুনিক খনন সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে পূর্নবাসন কাজ শেষ করে রাতের মধ্যেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। খননের পূর্বে রাস্তাটি যে অবস্থায় ছিলো খননের পর সম্পূর্ণ আগের মতোই সরকারের পিপিআর মেনে উপযুক্ত করে ঝকঝকে তকতকে রাস্তা তৈরী করে দিতে হবে। নীতিমালায়, রাস্তায় যে এলাকায় সড়ক খনন করা হবে সেই এলাকায় নাগরিকের সুবিধার্থে কমপক্ষে ৭ দিন আগেই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার, মাইকিং করা, স্থানীয় নাগরিকদের সহায়তা চেয়ে প্রচারপত্র বিলি, কেবল অপারেটরের মাধ্যমে প্রচার, কাজ শুরুর কমপক্ষে ৩ দিন আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা, একইসাথে নাগরিকদের এ নিয়ে কোন প্রকার অভিযোগ বা পরামর্শ প্রদান করতে সিটি কর্পোরেশন ও খননকারী সংস্থার নাম ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নাম্বার সাইন বোর্ড আকারে কাজ শুরুর স্থানে প্রদান করতে হবে। নতুন নীতিমালায় সকল ইউটিলিটি সার্ভিসের লাইন ফুটপাথের নীচে সার্ভিস ডাক্ট নির্মাণ করে বা সড়কের একপাশে স্থানান্তর করতে হবে। বিশেষ করে প্রধান প্রধান সড়কের ক্সেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এছাড়া পরিকল্পিত সকল নতুন সড়কের উভয় পাশ্বের ফুটপাথে সার্ভিস ডাক্ট নির্মাণ করে ইউটিলিটি সার্ভিস সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তা খননের চুক্তির নিয়ম বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে। অন্যথায় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। রাস্তা খোড়ার সময় অবশ্যই যান চলাচলের জন্য একপাশে ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাস্তা খননের সময় গর্তের আশেপাশে রাখা মাটি পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সরাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান। অন্যথায় সিটি কর্পোরেশন সকল আবর্জনা বা মাটি সরিয়ে ঠিকাদার বা সংস্থার জামানত থেকে ব্যয় হিসেবে দ্বিগুণ অর্থ কেটে নেবে। প্রতিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের এ্প্রিল মাসের আগেই কোন কোন রাস্তা কাটা হবে তার তালিকা প্রদান করবে। এরপর কোন রাস্তা কাটার তালিকা জমা দিলে তার অনুমতি দেয়া হবে না। বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিসের তথ্য সংরক্ষণ করে জিআইএস বেইজড সার্ভে করে ইউটিলিটি সার্ভিসেস এস বিল্ট নকশা প্রনয়ন করতে বলা হবে। এজন্য রাজধানীর সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আংশিখ বা পুরো জামানত বাজেয়াপ্ত করবে সিটি কর্পোরেশন। খননকালে যদি কোন সংস্থার ভুগর্ভস্থ লাইনের ক্ষতি হয় তাহলে যৌথ পরিমাপের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বিল প্রদান করতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান পূর্ববর্তী কাজের বিল পরিশোধ না করলে বা ক্ষতিপূরণ প্রদান করলে সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নতুন কোন খনন কাজের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে ক্ষতিগ্রস্থ ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র স্বাপেক্ষে প্রদান করা যেতে পারে। নতুন নীতিমালায়, নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে রাস্তা খোড়ার কাজ শেষ না হলে আইনানুযায়ী জরিমানা প্রদান করতে হবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া যে কোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চাইলেই যে কোন রাস্তা খননের অনুমতি দিতে পারবে না সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষ। এজন্য উক্ত রাস্তার এস বিল্ট নকশা, স্পেসিফিকেশন, প্রয়োজনে এ সকল রাস্তার দলিল সহ যাবতীয় তথ্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই কেবল রাস্তা খোড়ার অনুমতি দেবে সিটি কর্পোরেশন। তবে এজন্য সিটি কর্পোরেশ কে তার সীমানার সকল সেবাদানকারী সংস্থা কতৃক হস্তান্তরকৃত সড়কের এস বিল্ট নকশা সংরক্ষণ করতে হবে। আবেদন করার বিশ কর্মদিবসের মধ্যেই রাস্তা খখননের অনুমতি দেয়া হবে। কোন কোন যন্ত্রপাতি দিয়ে রাস্তা খখন করা হবে ও কত দিন ও কি পরিমান রাস্তা খখন করা হবে তার তথ্য রাস্তার উপরে সাইনবোর্ড দিয়ে তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। সুত্র জানায়, নীতিমালায় বলঅ হয়েছে সড়ক খননের আবেদন বিবেচনার সময় উক্ত সড়কের নীচের পানি, পয়পনালী, ড্রেনেজ, গ্যাস, বিদ্যুত, টেলি কমিউনিকেশন, অপটিকেল ফাইবার ইত্যাদি ভুগর্ভস্থ সাভির্েেস ব্যবস্থায় ইনস্টলেশন এলাইনমেন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই কেবল অনুমতি প্রদান করা হবে। নীতিমালায় সংস্থা কতৃক বছরের জমা দেয়া তালিকার বাইরে কোন সড়কই খনন করতে দেয়া হবে না। তবে অতি জরুরী কোন বিষয়ে বা বিশেষ ক্ষেত্রে অনুমতি স্বাপেক্ষে রাস্তা খনন করতে হবে। বছরে কমপক্ষে ২ বার সকল সেবাদানকারী সংস্থা ও ট্রাফিক পুলিশ সহ সকলকে নিয়ে বাৎসরিক খনন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া কোন রাস্তার পুরোটাই একসাথে কাটা যাবে না। সর্বোচ্চ ১৫ দিনে একটি ভাগ করে কাজ শেষ করার পর পরবর্তী ১৫ দিনের কাজ শেষ হবে বিশেষ ক্ষেত্রে ১ মাসের জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে। এছাড়া সড়ক উন্নয়নের পূর্বেই সকল প্রকার ইউটিলিটি সার্ভিস গ্রহণ করতে হবে। তবে নাগরিক সচেতনতায় সিটি কর্পোরেশন সচেতনতা গড়ে তুলতে চিঠি প্রদান ও মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করবে।কোন প্রতিষ্ঠান রাস্তা খননের পর উক্ত রাস্তার গর্তের মাঝে বালি দিয়ে ভালভাবে ভরাট করতে হবে ও ব্রিক সলিং ও হিরিং বন্ড দিয়ে যথাযথভাবে করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে। এছাড়া কাজ শেষে সারফেইজ ড্রেন ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা, খননের সময় সংস্থা বা সাইটে সংশ্লিষ্টদের দেখাতে অনুমতি পত্র সাথে রাখবে। এ সকল কাজ ট্রাফিক বিভাগ নজরধারী করবে। জামানতের অর্থ ১৫ দিনের মধ্যেই ঠিকাদারদের ফেরত দেয়া হবে। অতি প্রয়োজনে ওয়ান স্টপ সেলের সাথে আলেঅচনা করে সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশকে জানাতে হবে। বর্ষকালে রাস্তা খনন করতে হলে মূল ক্ষতিপূরণসহ অতিরিক্ত ৫০ ভাগ ফি জমা দিতে হবে। যুক্তিসংগত কোন কাজ শেষ করতে দেরী হলে কমপক্ষে ৫ দিন আগে সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম সাতদিনের জন্য কোন জরিমানা করা হবে না তবে এর বেশী দেরী হলে একভাগ হারে জরিমানা আরোপ করা হবে। নীতমালার শর্ত পূরণ না করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। কোন সংস্থার অতি জরুরী মেইটেনেন্স কাজের জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়মানুযায়ী খনন কাজ করতে পারবেন। কম সময়ে অধিক কাজ করতে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানকে রোড কাটার পাওয়ার স শোভেল সিস্টেম, হাইড্রোলিক এক্সাভেটর, মোবাইল পাইল ড্রাইভিং রিগ, হাইড্রোলিক ফিটার, হেভি ডিউটি মোবাইল জেনারেটর, ওয়াকিটকি লেবার ইকুইপমেন্ট যেমন, হেলমেট, হ্যান্ড গ্লাভস, গামবুট, এপ্রন, লাইট ইত্যাদি সমৃদ্ধ হবে হবে। যা ঠিকাদারদের সাথে করা চুক্তিতে উল্লেখ করবে সিটি কর্পোরেশন। কোন সংস্থার সেবা বন্ধ না হয় সেজন্য দুর্ঘটনা ঘটলেই সাথে সাথেই সমাধান করবে। রাতের কাজের সময় অতিরিক্ত আলো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। কাজ শুরুর কমপক্ষে ৩ দিন আগে সংশ্লিষ্ট থানা ও ডিসি ট্রাফিককে জানাতে হবে। ওয়ান স্টপের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও প্রধান প্রকৌশলীকে সদস্য সচিব করে ওয়াসা, বিদ্যুত ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ডসহ সেবাদানকারী ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া খনন ও পরবর্তী মেরামত কাজ মনিটরিংয়ের জন্য ৩ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল থাকবে। মূলত যখন তখন নিয়ম বর্হিভুতভাবে রাস্তার খোড়াখুড়ি বন্ধ করতে নতুন এ নীতিমালাটির কঠোর বাস্তবায়ন করা গেলে সড়ক খননের ফলে সারাবছরের সৃষ্ট জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার সচিব মো: হেলালুদ্দিন জনকন্ঠকে বলেন, রাজধানীর যত্রতত্র ও এমনকি বর্ষাকালেও রাস্তা খোড়াখুড়ি সমপূর্ন বন্ধ করতে একটি সময়োপযোগী বাস্তবসম্মত খসড়া নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বর্তমানে ২০০৩ সালেল সড়ক খখন নীতিমালঅয় সকল খোড়াখুড়ির কাজ চলছে। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৮ নামে সরকার খসড়া নীতিমালাটির চ’ড়ান্ত করতে ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনের নীতিমালঅটির সঠিক বাস্তবায়নে তাদেও মতামত চাওয়া হয়েছে। নীতিমালাটি হবে জনবান্ধব । এর শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্টদেও বিরুদ্ধে জরিমানা সহ নানা প্রকার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি চ’ড়ান্ত করতে সড়ক খননের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ মাসেই একটি সমন্বয় সভার ডাকা হবে। নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সবার সাথে অলোচনা স্বাপেক্ষে অতি দ্রুতই এটিকে চ’ড়ান্ত করা হবে।
×