ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাবিহা রহমান

শুষ্ক ত্বকের দেখভাল

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

 শুষ্ক ত্বকের দেখভাল

পুজা চলে যেতেই বাতাসে একটা শীত শীত ভাব। হেমন্তকালে এলেই ত্বক হঠাৎ আর্দ্রতা হারায় ফলে শুকিয়ে যেতে শুরু করে ত্বক। তাই এই সময় প্রয়োজন সঠিক যত্নের। ত্বকের যত্নে যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য শীতের শুরুটা খুব স্পর্শকাতর। তৈলাক্ত ত্বক এ সময়ে হয়ে ওঠে রুক্ষ। তাই ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে মুখ হাত ধোয়ার পর লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার। যাদের ঘরের বাইরে বেরোতে হয় বেশি, তাদের উচিত ঘরে ফিরে প্রথমেই ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলা। মুখ ধোয়ার জন্য কখনোই সাবান নয়, ব্যবহার করতে হবে ফেসওয়াশ। আর এই সময়ে যেসব ফেসওয়াশে বেশি ময়েশ্চারাইজার আছে তেমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করাটাকেই ভালো বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ফেসপ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো রূপ বিশেষজ্ঞর কাছ থেকে ত্বকের ধরন জেনে নেয়াটা জরুরি। প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যতœ করতে পারলে খুব ভালো হয়। যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো শশা বা টকদই। আর স্বাভাবিক এবং শুষ্ক ত্বকে মধু আর দুধের চেয়ে ভালো কিছু হয় না। সাথে বেসনও ব্যবহার করতে পারেন। জানো তো বেসন হলো ডালের গুঁড়া। তাই ডালের পেস্টও ব্যবহার করা যায়। আর রোদে বেড়োনোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুললে কিন্তু চলবে না। রোদচশমাটাও ব্যবহার করবেন। হাত-পায়ের যত্ন শীতের শুরুতে বা শীত জুড়ে হাত ও পায়ে গ্লিসারিনের ব্যবহার যে খুব উপকারী তা পরিক্ষিত। গ্লিসারিনের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে হাত পায়ের মালিশ করলে হাত পায়ের খশখসে ভাব দূর হবে। আর পা ফাটলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত- পা পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। গোসলে এ সময় সাবানের বদলে তরল বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারো। ময়েশ্চারাইজারযুক্ত তরল বডিওয়াশ শরীরের টানটান ভাব কমাবে। আর সাবান ব্যবহার করলে চেষ্টা করবে গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে। গোসলের পর লোশন লাগানো যেতে পারে। বেবি লোশন এ ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে। কারণ, এতে ত্বক খুব কোমল হয়। গোসলের আগে চাইলে অলিভ অয়েল শরীরে মেখে গোসল করা যেতে পারে। এতে শরীরে মসৃন একটা ভাব তৈরি হবে। ঠোঁটের যত্ন শীতকালে আলাদা করে নিতে হয় ঠোঁটের যত্ন। শীতের কনকনে হাওয়ায় বারবার ঠোঁট শুকিয়ে যায়। রূপবিশেষজ্ঞরা এ সময়ে ঠোঁট নরম ও কোমল রাখতে ব্যবহার করতে বলেন মধু, চিনি ও হালকা লেবুর রস। তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে লাগাতে হবে ঠোঁটে। গ্লিসারিন এবং অলিভ অয়েলও একই কাজ করবে। এ দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে আরো বেশি উপকার পাবে। লিপজেল বা লিপবাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মানের বাম বা জেল ব্যবহার করতে হবে। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বা শুকনো ঠোঁট খোটার বদঅভ্যাস থাকলে অবশ্যই তা ঝেরে ফেলো এখনই।
×