চলতি বছর স্ত্রী এস্তার ডুফলো এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জি ভারতের অর্থনীতির অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। দ্বিতীয় নারী, দ্বিতীয় বাঙালি, পঞ্চম দম্পতি দারিদ্র্য বিমোচনের গবেষণায় অর্থনীতির নোবেল অর্থনৈতিক এ সঙ্কটের কথা ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ধীরে ধীরে স্বীকারও করছে, বলে জানিয়েছেন এ ভারতীয়-আমেরিকান। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিজিৎ এসব কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বাঙালি এ অর্থনীতিবিদকে ভারতের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে মত দিতে বলা হলে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে আমার বিবৃৃতি তার ওপর নয়, বরঞ্চ এখন কি হচ্ছে তা নিয়ে। আমি এ বিষয়ে মত দিতে পারি। আমার দৃৃষ্টিতে ভারতের অর্থনীতি খুবই খারাপ করছে।’ এর পেছনে যুক্তি দিতে গিয়ে অভিজিৎ প্রতি দেড় বছর পরপর প্রকাশিত ভারতের ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্র্ভের করা দেশটির গ্র্র্রাম ও শহরের বাসিন্দাদের গড় ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার তথ্য টানেন। ‘যদি আমরা ২০১৪-১৫ ও ২০১৭-১৮ সালের তথ্যের দিকে তাকাই, তাহলে দেখবো যে গড় ব্যয় সামান্য হলেও কমে গেছে। অনেক অনেক বছর পর প্রথমবার এ চিত্র দেখা গেল, যা স্পষ্টতই সতর্কীকরণ চিহ্ন,’ বলেছেন তিনি। ভারতের সরকার তাদের জন্য অস্বস্তিকর যে কোনো তথ্য-উপাত্তকেই ভুল বলে চিহ্নিত করতে চাইলেও সা¤প্রতিক সময়ে তারাও সঙ্কট স্বীকার করে নিচ্ছে, মত তার। ‘কোন উপাত্ত যে সঠিক তা নিয়ে ভারতে তুমুল বিতর্ক চলছে। যেসব উপাত্ত অস্বস্তিকর সেগুলো ভুল হিসেবে দেখাতে সরকারের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিও আছে। কিন্তু এরপরও, এমন কিছু একটা আছে, যে আমার মনে হচ্ছে সরকারও ধীরে ধীরে সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছে। ‘অর্থনীতি শ্লথ হচ্ছে দ্রুতগতিতে। কতটা দ্রুতগতিতে হচ্ছে তা আমরা জানিনা, কেননা এ সংক্রান্ত উপাত্ত নিয়ে বিতর্ক আছে, কিন্তু আমার মনে হয় বেশ দ্রুতগতিতেই হচ্ছে,‘ বলেছেন অভিজিৎ। সংকট নিরসনে সুনির্দিষ্টভাবে কী করা দরকার, তা বলতে পারেননি ৫৮ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: