ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা বন্দরের প্রথম সার্ভিস জেটিতে পণ্য খালাস শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

পায়রা বন্দরের প্রথম সার্ভিস জেটিতে পণ্য খালাস শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৫ অক্টোবর ॥ তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রায় প্রথম সার্ভিস জেটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেটিতে অত্যাধুনিক ক্রেনের মাধ্যমে পণ্য ওঠা-নামার কার্যক্রম শুরু করা হয়। টিয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীতে এ সার্ভিস জেটি স্থাপনে ২১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৮০ মিটার দীর্ঘ ২৪ মিটার প্রস্থ সার্ভিস জেটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে ২৯ কোটি টাকার ৬৪ টন লিফটিং ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক বহুমুখী মোবাইল হারবার ক্রেন। জার্মান থেকে ক্রেনটি কেনা হয়েছে। এই ক্রেনের মাধ্যমে প্রথম সাভিস জেটির ব্যবহার শুরু হয়। পায়রা বন্দরের ক্যাপিট্যাল ড্রেজিংএ নিয়োজিত বেলজিয়াম ভিত্তিক কোম্পানি জানডিনুল এর কন্টেনারবাহী (যন্ত্রপাতি) পণ্য খালাসের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের জেটি ও ক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে সচল করা হয়। যোগ হলো পায়রায় এক নতুন মাত্রা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট (লাইটার এন্ড মুরিং) এসএম ইমতিয়াজ ইসলাম, উপ-পরিচালক নিরাপত্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) মোঃ সোহেল মীর, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুত) মোঃ আসাদুল্লা আশিক। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর পায়রা বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পটিকে ফ্যাস্ট ট্রাক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ১৯টি কম্পোনেন্টে বিভাজন করা হয়। যেখানে দেশের (জিটুজি) অর্থায়ন এবং সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এর বাস্তবায়ন চলছে। স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী তিন ধাপে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের নৌপথে বাণিজ্যিক জাহাজ হতে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাশের মধ্য দিয়ে অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পায়রা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন এ পর্যন্ত ৩৫টি জাহাজের পন্য খালাসের মাধ্যমে সরকার ১১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। হবিগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১৫ অক্টোবর ॥ শায়েস্তাগঞ্জের পুরাসুন্দা এলাকার সুরাবই গ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কুদরত আলী (৪০) পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলাধীন নিজামপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামে। বাবার নাম ওমর আলী। মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চলাকালে এই ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই আবুল কালাম, আই মোজাম্মেল হকসহ কনস্টেবল রনি, জয়নুল হক, নুরুল ইসলাম ও রিপন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত সকলেই হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় একটি পাইপগান, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
×