ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় খাসিয়ারা এক বাংলাদেশী ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

ভারতীয় খাসিয়ারা এক বাংলাদেশী ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ জৈন্তাপুরে টিপরাখলা সীমান্ত থেকে ভারতীয় খাসিয়ারা এক বাংলাদেশী এবং শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটে বলে জানা যায় । এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা হারিছ উদ্দিনের ছেলে ও এক সন্তানের জনক ফিরোজ মিয়া (৩৮) ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াইবস্তির বাসিন্দা চংকর খাসিয়া’র স্ত্রী ও ৫ সন্তানের জননীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে বাংলাদেশে নিয়ে এসে দু’জনে আত্মগোপন করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৮নং আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দু’দেশের পতাকা বৈঠক হয় এবং বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে উক্ত ভারতীয় খাসিয়া নারীকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু ফিরোজসহ তার প্রেমিকাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় ফেরত দেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে দু’জনের আত্মগোপনের ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভারতীয় ওই খাসিয়া নারীকে ফেরত না দেয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ১২৮৮নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৩ এস হতে ৬ এস পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আব্দুন নুর (৪৫)কে জিম্মি করে শতাধিক গরু ধরে নিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ১৯ বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির, নিজপাট ইউপি সদস্য মনসুর আহমদ ও আব্দুল হালিম। এ ব্যাপারে ১৯ বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির বলেন, আমরা শনিবারের (১২ অক্টোবর) ঘটনার পর ভারতীয় বিএসএফ’এর মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সঙ্গে আলাপ করে দ্ইু দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেন। কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুন নুরসহ বেশ কিছু গরু ধরে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং খাসিয়ারা যাতে বাংলাদেশীদের গরু ধরে নিতে না পারে সে জন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
×